প্রতীকী ছবি।
পুষ্টির উপাদানে তারতম্য ঘটলে কোনও না কোনও শারীরিক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। বি, ডি, সি ও এ-র মতো ভিটামিনগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে আমরা যতখানি ওয়াকিবহাল, ভিটামিন কে-র বিষয়ে কিন্তু ততটাও নয়। ভিটামিন কে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। কিন্তু তার ঘাটতি হলেও সচেতনতার অভাবে অনেক সময়ে তা বুঝতে পারি না আমরা।
কখন বুঝবেন শরীরে ভিটামিন কে-র ঘাটতি হচ্ছে?
১) শরীরের কোথাও কেটে গিয়ে রক্তপাত বন্ধই হচ্ছে না? ভিটামিন কে-র ঘাটতি হলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্ত তঞ্চনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান তৈরিতে সহায়তা করে ভিটামিন কে।
২) হাড় ভেঙে যাওয়া বা হাড়ের ঘনত্ব কম হওয়ার পিছনেও কিন্তু ভিটামিন কে-র অভাব রয়েছে। কারণ ভিটামিন কে হাড় শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। শরীরে ভিটামিন কে-র পরিমাণ কম হয়ে গেলে পেশির জয়েন্টে ব্যথা ও অস্টিওপোরসিসও হতে পারে।
৩) হৃদ্যন্ত্রের সমস্যাও হতে পারে এই ভিটামিনের অভাবে। মিনারেলাইজেশনের কারণে ধমনীতে মিনারেল জমা হলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভিটামিন কে এই মিনারেলাইজেশন প্রতিরোধ করতে পারে।
৪) ঋতুস্ত্রাবের সময়ে একটু-আধটু পেটে ব্যথা হতেই পারে। কিন্তু যদি খুব বেশি পেটে ব্যথা হয়, তা হলে তার কারণ শরীরে ভিটামিন কে-র ঘাটতি।
কী খেলে কমবে ঘাটতি?
শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি আছে কি না, সময় থাকতে সে বিষয়ে সতর্ক হন। প্রতিদিন শাক-সব্জি খান। ব্রকোলি, পালং শাক, বরবটি নিয়মিত খেতে হবে। দুগ্ধজাত খাবার ও ডিম খেলে এই ভিটামিনের ঘাটতি কমবে। ডায়েটে রাখুন কিউয়ি, অ্যাভোক্যাডো, আঙুর। মুরগির মাংস এবং সোয়াবিনেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy