দেবাংশুর ব্যক্তিজীবনের হলফনামা। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ। (মূল ছবি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
২০২১ সালে রাজ্য-রাজনীতিতে সাড়া ফেলেছিল ‘খেলা হবে’ গানটি। যে শব্দবন্ধ পরে দলনেত্রীরও ঠোঁটস্থ হয়ে যায়। যাঁর কলম থেকে এই গানের জন্ম, তিনি দেবাংশু ভট্টাচার্য। রাজনীতিতে তাঁর উত্থান ধূমকেতুর মতো। ফেসবুকের পাতায় দীর্ঘ দিন ধরেই প্রচারমূলক লেখালিখি করতেন। সে সূত্রেই দলের উপরমহলের নজরে আসেন। দায়িত্ব পান। দলের মুখপাত্র হন। তার পর থেকে শুধু ফেসবুকে নয়, ঝড় তুলতে শুরু করেন ভাষণেও। ভরসাযোগ্য হয়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রথম বার নির্বাচনে লড়ছেন। তা-ও আবার সাংসদ পদের জন্য।
তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তিনি। পরীক্ষার দিন ক্রমশ এগিয়ে আসছে। তাই প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখতে চান না। প্রচারের ব্যস্ততার মাঝেই তাঁর কাছে ফোন গেল আনন্দবাজার অনলাইনের। রাজনৈতিক প্রশ্নের ভিড়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলার সুযোগ লুফে নিলেন তিনি। তবে হাতে সময় কম, তাই গল্প হল হাজির জবাবে।
১) সকালে উঠেই কোন কাজটি করেন?
দেবাংশু: বাঁধাধরা কোনও কাজ নেই। তবে এখন ঘুম থেকে উঠেই চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছি। তার পর দ্রুত স্নান সেরে সকাল ৭টার মধ্যে প্রচারে বেরিয়ে পড়ছি।
২) প্রচারে বেরোনোর আগে কী খাচ্ছেন?
দেবাংশু: ছাতুর ঘোল। মাঝেমাঝে মুড়ি আর তরকারি।
৩) প্রচারে যাওয়ার আগে কোন ৩টি জিনিস সঙ্গে নিতে ভুলছেন না?
দেবাংশু: মোবাইল, ওআরএস আর টুপি। অন্যকে পরানোর জন্য নয়। নিজে পরার জন্য।
৪) প্রচারে যাওয়ার আগে কোনও সংস্কার মেনে চলেন?
দেবাংশু: না। তবে মায়ের মুখটা দেখে বেরোলে ভাল লাগত। কিন্তু বাড়ি ছেড়ে দূরে থাকায় সেটা হচ্ছে না।
৫): পছন্দের নায়ক?
দেবাংশু: প্রিয় নায়ক শাহরুখ খান। তবে আমি আয়ুষ্মান খুরানার অভিনয়েরও ভক্ত।
৬) গান শোনা হয়?
দেবাংশু: শুনি তবে কম। নচিকেতার গান আমার খুব প্রিয়। ছোটদের জন্য লোপামুদ্রা মিত্রের গানগুলিও বেশ ভাল লাগে।
৭) কাকে দেখে রাজনীতিতে আসার জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন?
দেবাংশু: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও সংশয় নেই। ওঁর লড়াই আমাকে শক্তি জোগায়।
৮) রাজনীতিতে না এলে অন্য কোন পেশায় যেতেন?
দেবাংশু: ট্রেন চালানোর স্বপ্ন দেখতাম। পরে ভেবেছিলাম মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করব।
৯) নিজের দলের নেতাদের ছাড়া সমাজমাধ্যমে আর কাকে ‘ফলো’ করেন?
দেবাংশু: অনেককেই করি। তবে এ ক্ষেত্রে আলাদা করে নীতিন গডকরীর নাম বলব। কারণ বিজেপি নেতৃত্বদের মধ্যে একমাত্র ওঁকে অনুসরণ করা যায়।
১০) কোনও পরিস্থিতিতে মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন?
দেবাংশু: কাছের মানুষ, প্রিয়জনেরা অসুস্থ হলে। তখন ভীষণ ভয় করে। মনখারাপ হয়।
১১) কোন খাবার খেলে মন ভাল হয়ে যায়?
দেবাংশু: মুরগির মাংসের যে কোনও পদ। তবে সেটা মায়ের হাতের হলে সবচেয়ে ভাল হয়।
১২) ইদানীং আপনার ফোন থেকে কার কাছে সবচেয়ে বেশি ফোন যাচ্ছে?
দেবাংশু: আমার যিনি ইলেকশন এজেন্ট। তাঁর সঙ্গেই যোগাযোগে থাকতে হচ্ছে সারা ক্ষণ।
১৩) বেড়াতে যেতে ভালবাসেন?
দেবাংশু: ভীষণ। পাহাড় খুব টানে। ভোট মিটলেই প্রথম যাব দার্জিলিং।
১৪) প্রেম করেন?
দেবাংশু: না। মনের মতো কাউকে এখনও পাইনি। কিংবা অনেকেই হয়তো মনের কথা বলে উঠতে পারেননি।
১৫) মনের মানুষ নির্বাচনের ব্যাপারে কোনও মাপকাঠি আছে?
দেবাংশু: তাঁকে অবশ্যই দিদির সমর্থক হতে হবে। না হলে সারা দিন ঝগড়া করে কাটাতে পারব না।
১৬) বিয়ের পরিকল্পনা আছে?
দেবাংশু: এখন আমার বয়স ২৮। ইচ্ছা আছে ৩০-এ বিয়ে করার। কিন্তু এই দু’বছরে মনের মতো কাউকে না পেলে সময়টা পিছোতেও পারে।
১৭) নির্বাচনের মরসুমে প্রতিপক্ষদের সুস্থ থাকার কী টোটকা দেবেন?
দেবাংশু: বেশি করে জল খেতে বলব। তবে শুধু জল নয়। জলে খানিকটা ওআরএস মিশিয়ে নিলে ভাল।
১৮) নির্বাচনে জিতে দায়িত্ব পেলে প্রথম কোন সমস্যার সমাধান করবেন?
দেবাংশু: নিজের কেন্দ্রের কর্মসংস্থানে জোর দেব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy