চা খেলে শরীর গরম থাকে? ছবি: সংগৃহীত।
পাহাড়ের ঢালে ছোট্ট ঝুলন্ত বারান্দা। পড়ন্ত বিকেল কিংবা সন্ধ্যার সময়ে সেই বারান্দায় বসে চায়ের কাপে চুমুক দেওয়ার আমেজই আলাদা। তবে পাহাড়ের ঢালে বসে বা নিজের বাড়ির বারান্দা— যেখানে বসেই কাপে চুমুক দিন না কেন, চায়ের মাহাত্ম্য সব জায়গাতেই এক। শীতে ঠান্ডার দাপট থেকে বাঁচতে সকালে-বিকেলে এক পেয়ালা চায়ে চুমুক না দিলেই নয়। তবে চা তো শুধু মনের তৃষ্ণা মেটায় না। শরীর গরম রাখতেও সাহায্য করে এই পানীয়। কিন্তু কী ধরনের চা খেলে ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবেন, তা জানেন কি?
১) মশলা চা
চা-প্রেমীদের কাছে এই চায়ের কদর সবচেয়ে বেশি। দুধ, চিনি দেওয়া গাঢ় চা যতই অস্বাস্থ্যকর হোক না কেন, ঠান্ডার সময়ে গা গরম রাখতে তা-ই যেন অমৃত। ফুল ক্রিম দুধের মধ্যে ছোট এলাচ, গোলমরিচ, দারচিনি, লবঙ্গ, আদা এবং চা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে এই মশলা চা।
২) লেবু, গোলমরিচের চা
ঠান্ডায় সর্দিকাশি বা ফ্লুয়ের হাত থেকে বাঁচতে, এই চায়ের জুড়ি মেলা ভার। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং গোলমরিচে মধ্যে থাকা ক্যাপসাইসিন শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তবে এই চায়ে দুধ, চিনি না মেশানোই ভাল।
৩) আদা, পুদিনার চা
গলা খুসখুস এবং সর্দিকাশিতে আরাম দেয় আদা, পুদিনার চা। সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতেও দারুণ কাজ করে এই চা। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে ভরপুর এই চা গলার ক্ষত সারাতেও সাহায্য করে।
৪) দারচিনি, ছোট এলাচের চা
শুধু ঠান্ডা লাগা বা ঠান্ডায় গা গরম রাখাই নয়, বিপাকহার উন্নত করতেও সাহায্য করে দারচিনি এবং ছোট এলাচ মিশ্রিত বিশেষ এই চা। এই পানীয়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রক্ত সঞ্চালনও ভাল রাখে।
৫) দারচিনি, ক্যামোমাইল চা
সারা দিনের কাজের চাপ, উদ্বেগ, ক্লান্তি কাটিয়ে দিতে অব্যর্থ এই চা। উত্তেজিত স্নায়ু শিথিল করতে এবং অনিদ্রাজনিত সমস্যা নিরাময়ে দারুণ কাজ করে ক্যামোমাইল। রোগ প্রতিরোধের জন্য ক্যামোমাইলের সঙ্গে মেশাতে পারেন দারচিনির গুঁড়ো। মন তরতাজা হয়ে উঠবে, আবার শরীরও গরম থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy