এক প্লেট বিরিয়ানিতে যত চাই, ততই পাবেন। ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালির কাছে বিরিয়ানি হল এক অন্য আবেগ। বিরিয়ানির বিষয়ে শহরবাসী আবার ভীষণ খুঁতখুঁতেও বটে। মটন হোক কিংবা চিকেন, বিরিয়ানিতে ডিম আর আলু না থাকলে ভোজটা ঠিক জমে না বাঙালির। বিরিয়ানির ভাত হতে হবে ঝরঝরে আর সুগন্ধি। কেবল বিরিয়ানির মাংসটা সুসিদ্ধ হলেই হবে না, চালের পরিমাণটাও বেশি হতে হবে। জেনে নিন কোন কোন বিরিয়ানির দোকানে গেলে ভাতের পরিমাণ নিয়ে আপনাকে নিরাশ হতে হবে না।
শিমলা বিরিয়ানি: শহরে রুবি পার্ক, চিনার পার্ক আর লেক টাউনে শিমলা বিরিয়ানির দোকান রয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের বিরিয়ানি পাওয়া যায় এই দোকানে। লখনউয়ের বিরিয়ানি, কলকাতার বিরিয়ানি এমনকি, ইলিশের মরসুমে ইলিশের বিরিয়ানি পাওয়া যায় এই দোকানে। বিরিয়ানির স্বাদ যেমন অতুলনীয়, চালের পরিমাণটাও কিন্তু অনেকটাই বেশি থাকে এই দোকানে।
ডি বাপি: ব্যারাকপুরে এই দোকানের বিরিয়ানির কথা অনেকেরই জানা। ১৫০ গ্রামেরও বেশি ওজনের মাংস দেওয়া হয় এই দোকানের বিরিয়ানিতে। তবে কেবল মাংসের জন্যই নয়, ওই দোকানে বসে খেলে আপনি যত ইচ্ছে ভাত পেতে পারেন। পেট না ভরা অবধি এই দোকানের কর্মীরা আপনাকে বিরিয়ানির ভাত দিয়েই যাবেন। তাই ভাল বিরিয়ানি পেট ভরে খেতে হলে এই দোকানে ঢুঁ মারতেই পারেন।
জিশান: পার্ক সার্কাসের এই দোকানের বিরিয়ানি অনেকেই বেশ পছন্দ করেন। কেবল স্বাদের কারণেই নয়, বিরিয়ানির পরিমাণের জন্য এই দোকানে ভিড় জমান অনেকে। ভাল বিরিয়ানির স্বাদও পাবেন, আর চালের পরিমাণ নিয়েও মনে খুঁতখুঁত হবে না, এমন বিরিয়ানির দোকানের খোঁজ করলে এই দোকানটি রাখতে পারেন পছন্দের তালিকায়।
ইন্ডিয়া রেস্টুরেন্ট: খিদিরপুরের ইন্ডিয়া রেস্টুরেন্টে বিরিয়ানিতে চালের পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে। এই দোকানের বিরিয়ানির স্বাদও অতুলনীয়। ছোট একটি দোকান থেকে পথচলা শুরু করলেও, এখন সেটি বড়সড় রেস্তরাঁয় পরিণত হয়েছে। শহরবাসীর বিরিয়ানিপ্রীতির দৌলতে আজ কৈখালিতেও এই রেস্তরাঁর শাখা খুলেছে। এই রেস্তরাঁর বিরিয়ানির স্বাদ খুব হালকা। বিরিয়ানির সঙ্গে চিকেন কিংবা মটন চাপ নিয়ে নিলেই দুপুর কিংবা রাতে পুজোর ভোজ একেবারে জমে যাবে।
লখনউ বিরিয়ানি: মধ্যমগ্রামের স্টেশনের এই দোকানে গেলে কিন্তু আপনাকে নিরাশ হতে হবে না। বিরিয়ানির মাংস যেমন নরম তুলতুলে, চালটাও বেশ ঝরঝরে। এই দোকানে বসে খেলে আপনি যত বার চাইবেন তত বার চাল দেওয়া হবে। এ ছাড়াও বিনামূল্য নরম পানীয়ও দেওয়া হবে এই দোকানে বিরিয়ানির সঙ্গে। তাই ওই চত্বরে গেলে এই দোকানের বিরিয়ানি এক বার চেখে দেখতেই পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy