দু’মিনিটে কমবে মশার কামড়ের জ্বালা। ছবি: সংগৃহীত।
মরসুম বদলের সময় মানেই মশার উত্পাত। এখন একটু ঠান্ডা পড়ায় উত্পাত কমে আসলেও মশার কামড়ে লাল হয়ে গিয়ে ফোলা দাগ হয়তো এখনও রয়ে গিয়েছে। শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ায় মশার কাম়ড় থেকে চুলকানির সমস্যাও হতে থাকে। বাড়ির কাছে ঝোপঝাড় থাকলে পোকা মাকড়ের কামড়, কেন্নোর থেকেও হতে পারে চুলকানির সমস্যা। ছোটখাটো চুলকানি থেকে হতে পারে বড় সংক্রমণের সমস্যাও। এই সমস্যা থেকে চটজলদি রেহাই পাওয়ার জন্য মেনে চলতে পারেন ঘরোয়া কিছু টোটকা।
১) বাড়িতে সব সময় রাখুন কলা। যখনই মশা বা পোকার কামড় থেকে লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে ওঠা বা চুলকানির সমস্যা হবে, ক্ষতের ওপর কলার খোসা ঘষতে থাকুন। এক-দু’ মিনিটের মধ্যেই চুলকানি কমে যাবে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফোলাও ধীরে ধীরে কমে আসবে।
২) ফোলাভাব কমাতে আক্রান্ত স্থানে বরফ লাগাতে পারেন। বরফ ত্বককে অসাড় করে দেয়, যা ব্যথা এবং জ্বালা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি দিতে পারে। ব্যবহার করতে পারেন ‘কোল্ড প্যাক’ও। কোল্ড প্যাক না থাকলে, এক টুকরো কাপড়ে কিছু চূর্ণ বরফ রেখে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন। তবে বরফ সরাসরি ত্বকে ৫ মিনিটের বেশি রাখবেন না, নয়তো ত্বকের কোষগুলির ক্ষতি হতে পারে।
৩) অনেকেই এখন বাড়িতে এই গাছ লাগান। অ্যালো ভেরার জেলে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ক্ষত এবং ফোলা নিরাময়ে সাহায্য করে। শুধু মশা নয়, অন্য পোকার কামড়ের জন্যও এক টুকরো অ্যালো ভেরা সরাসরি আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন।
৪) তুলসি পাতায় ‘ইউজেনল’ নামক একটি যৌগ থাকে যা প্রদাহ কমায় এবং জ্বালা থেকে মুক্তি দেয়। এক কাপ জলে কয়েকটি তুলসি পাতা দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে এক টুকরো তুলো তরলে ডুবিয়ে কামড়ের স্থানের উপর আলতো করে ঘষুন।
৫) মধু প্রদাহনাশক এবং ব্যাক্টেরিয়ানাশক গুণে ভরপুর। মধু বিভিন্ন ধরণের ত্বকের সমস্যার চিকিৎসার জন্য খুবই কার্যকর। মশার কামড়ের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে মধু। প্রদাহ কমাতে চুলকানির উপর অল্প পরিমাণ মধু লাগান। কিছু ক্ষণ পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy