এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলি দেশের রমরমিয়ে বিক্রি হলেও বিদেশের বাজারে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ছবি- সংগৃহীত
যে কোনও দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে থাকে সেখানকার খাবারের ধরন এবং স্বাদ। বিভিন্ন জায়গার জলবায়ু, ভৌগোলিক এবং আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামো অনুযায়ী একই খাবারের নাম এবং স্বাদ পাল্টে যায়। কিন্তু সব প্রদেশের খাবারেরই নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। খাদ্যরসিক মানুষ যাঁরা, তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে সেখানকার বিশেষ বিশেষ খাবার চেখে দেখার সুযোগ কোনও মতেই হাতছাড়া করতে চান না। এমনই তার স্বাদ। এমনকি, বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় গজিয়ে ওঠা ভারতীয় রেস্তরাঁতেও পাওয়া যায় সেই সব খাবার। কিন্তু জানেন কি এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলি দেশে রমরমিয়ে বিক্রি হলেও বিদেশের বাজারে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ভারতে পাওয়া যায় এমন কোন কোন খাবার নিষিদ্ধ বিদেশে?
১) শিঙারা
সামোসা বা শিঙারা, যে নামেই ডাকুন না কেন, সন্ধ্যার নাস্তায় এই খাবারটি অনেকেই খেয়ে থাকেন। কিন্তু জানেন কি, ২০১১ সালেই দক্ষিণ আফ্রিকার সোমালিয়া অঞ্চলে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এই শিঙারা। শুধু তা-ই নয়, যে কোনও ত্রিভুজাকার খাওয়ার জিনিসই সেখানে ব্রাত্য। কারণ, তাঁরা মনে করেন, ত্রিভুজাকৃতি যে কোনও জিনিসই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য পবিত্র। তাই তা খাওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
২) চ্যবনপ্রাশ
ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচতে এবং প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে চ্যবনপ্রাশ খাওয়া ভারতীয়দের বহু দিনের রীতি। কিন্তু ২০০৫ সালে কানাডা থেকে এই ভারতীয় ‘কাড়া’টি সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। কারণ, বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে যে সীসা এবং পারদের মতো ক্ষতিকারক ধাতু মিশে আছে চ্যবনপ্রাশে।
৩) ঘি
ভারতীয়দের মতে, পঞ্চামৃতের একটি হল ঘি। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বেড়ে যাওয়া এবং সেই সংক্রান্ত রোগের ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করে ঘি। তাই আমেরিকার খাদ্য নিয়ামক সংস্থা এই ‘সুপার ফুড’টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
৪) টম্যাটো সস
যে কোনও ভাজাভুজি, চাউমিন, স্যান্ডউইচের স্বাদ বাড়িয়ে তুলতে পারে টম্যাটো সস। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সস খাওয়ার প্রবণতা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, তা আটকানোর জন্য ফরাসি সরকার বহু কাল আগে থেকেই তাদের দেশে এই খাবারটি নিষিদ্ধ করে দেয়।
৫) চিউইং গাম
১৯৯২ সালে সিঙ্গাপুর থেকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এটি। পরিচ্ছন্নতার জন্য এই দেশের সুখ্যাতি রয়েছে। সুতরাং চিউইং গাম চিবিয়ে যত্রতত্র ফেলার প্রবণতা আটকানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy