জুতোর জেরে ফোস্কা রুখতে ভরসা রাখুন কিছু ঘরোয়া উপায়ে। ছবি: আইস্টক।
শু ওয়ার্ডড্রোবে নতুন জুতো। তা সে শখেই হোক বা প্রয়োজনে। বর্ষা হোক বা পুজো, পায়ের সঙ্গে জুতসই জুতো না হলে মুখ ভার অনেকেরই। কিন্তু নতুন পছন্দের জুতো যদি পায়ের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখনই শুরু হয় জুতো-যন্ত্রণার শুরু।
প্রথমে ফোস্কা, তার পর চামড়া উঠে ক্ষত তৈরি হওয়া। যত দামি জুতোই হোক, খানিক ক্ষণ হাঁটিহাঁটির পর অনেকের ত্বকেই নতুন জুতোর জন্য ফোস্কা পড়ে। আর তখন ব্যান্ড এড, তুলো, ওষুধ ছাড়া জুতো পড়ার অবকাশ থাকে না। ফোস্কা পড়লে পরবর্তী ২-৩ দিন হাঁটা চলা করাও সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়।
এ সমস্যা আপনার একার নয়। এ নিয়ে খুব নাজেহাল হওয়ার উদাহরণও কম নেই। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে জুতো থেকে তৈরি ফোস্কা ও তার যন্ত্রণাকে রুখে দিতে পারেন সহজেই। কী কী ভাবে তা সম্ভব জানেন?
আরও পড়ুন: নিয়ম মানতে না পেরে লিভারের উপর রোজই অত্যাচার? এ ভাবে সারিয়ে তুলুন রোগ
জুতো পরার আগের দিন রাতে কোনও ময়শ্চারাইজার, পেট্রোলিয়াম জেলি বা নারকেল তেল ভাল করে মাখিয়ে রাখুন জুতোর গায়ে। সারা রাত ও ভাবেই রাখুন। সকালে কোনও কাপড় দিয়ে তা মুছে পায়ে গলান জুতো। জুতো পড়ার সময় পায়েও মেখে নিন ময়শ্চারাইজার। এতে ফোস্কার ঝুঁকি কমে। জুতোর নির্দিষ্ট কিছু অংশের চামড়া মোটা থাকলে ত্বকের সঙ্গে ঘষা লেগে ফোস্কা পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। সে ক্ষেত্রে ওই অংশগুলোতে ভাল করে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে জুতোর চামড়া নরম হবে।
আরও পড়ুন: খুব কষ্ট করার দরকার নেই, এই সব সহজ উপায়েই জল বাঁচাতে পারেন প্রতি দিন
ফোস্কা নিয়ে কষ্ট করে হাঁটাচলা করতে যাবেন না। ফোস্কার জায়গায় অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ও ব্যান্ড এড লাগান। ফোস্কা থেকে তৈরি হওয়া ক্ষতে দিনে বার তিনেক মধু ও অ্যালোভেরা জেল লাগান। এই দুই উপাদান ফোস্কাকে শুকোতে সাহায্য করে। সামান্য জলের সঙ্গে আটা গুলে থকথকে মণ্ডটি ফোস্কার উপর লাগাতে পারেন। এতেও ফোস্কা শুকোয় তাড়াতাড়ি। তবে বাড়াবাড়ি রকমের ক্ষত তৈরি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ও প্রয়োজনীয় অ্যান্টিসেপটিক লাগান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy