Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
tattoo

ট্যাটু করাবেন? এ সব না মানলে বিপদে পড়বেন কিন্তু!

প্রথম থেকে সাবধানতা অবলম্বন না করাটা খুব জরুরি।

ট্যাটু করানোর আগে ও পরে মেনে চলুন বিশেষ কিছু সাবধানতা। ছবি: আইস্টক।

ট্যাটু করানোর আগে ও পরে মেনে চলুন বিশেষ কিছু সাবধানতা। ছবি: আইস্টক।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৯ ১৫:১১
Share: Save:

কোথাও কেবল মাছের লেজটুকু দেখা যাচ্ছে, কোথাও বা মাকড়সা বা বিছে থেকে শুরু করে প্রিয় ফুল। আবার কখনও প্রিয় জনের নামের অদ্যাক্ষর অথবা পছন্দের কোনও কোটেশন।

শুধু মেক আপেই থেমে নেই স্টাইল স্টেটমেন্ট। শরীরের নানা কোণে সাজগোজের অঙ্গ হিসেবে এমন সব ট্যাটুকে আপন করে নিয়েছে জেন ওয়াই। দেশ-বিদেশের নানা খেলোয়াড় থেকে শুরু করে আমজনতা, শরীরে ট্যাটু খোদাইয়ে পিছিয়ে নেই কেউই। ভালো ট্যাটু দেখতেও যেমন সুন্দর, তেমন তা আপনার পছন্দ-অপছন্দকেও সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলে।

এই প্রজন্মেরই কেউ কেউ আবার শরীরে ট্যাটু করাতে পছন্দ করেন না। তবে যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁরাও যে ট্যাটু করানোর আগে বা পরে খুব নিয়ম মানেন বা সতর্কতা অবলম্বন করেন এমনটা নয়। ফলে কারও কারও ক্ষেত্রে সংক্রমণ পর্যন্ত হতে পারে। ত্বকের মারাত্মক সমস্যাও হানা দিতে পারে এর হাত ধরে। স্থায়ী ট্যাটুর ক্ষেত্রে আবার তোলার সমস্যা থাকে বলে জট আরও বাড়ে। তাই প্রথম থেকে সাবধানতা অবলম্বন না করাটা খুব জরুরি।

আরও পড়ুন: শীতের শুরুতেই অ্যাজমাকে জব্দ করুন, শ্বাসকষ্ট রুখতে মানুন এ সব

ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: এক এক জনের ত্বকের ধরন এক এক রকম। তাই আপনার ত্বকের ধরন বুঝে তবেই ট্যাটুর পথে এগোন। কোনও বিষয়ে অ্যালার্জি থাকলে ট্যাটু করানো যাবে কি না, ট্যাটু করানোর পর কত বছর বাদে রক্ত দিতে পারবেন এই তথ্যগুলি আগে ভাল করে জানুন। আপনার ত্বকের ধরন বুঝে ত্বক বিশেষজ্ঞ যদি অনুমতি দেন, তবেই ট্যাটু করান। এর আগে যদি কোনও হেয়ার ডাই, গয়না বা ফ্যাব্রিক থেকে অ্যালার্জি হয়ে থাকে, তা হলে সে কথা অবশ্যই ট্যাটু করানোর আগে চিকিৎসককে জানান। ট্যাটু করানোর পর ত্বকের যত্ন কী ভাবে নেবেন, সেটাও স্পষ্ট করে জেনে নিন ত্বক বিশেষজ্ঞের থেকে।

ভাল শিল্পী: ট্যাটু যেহেতু মূলত লেখা বা আঁকার কাজ, তাই ভাল কোনও শিল্পীর জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করুন। শুধু দেখতে খারাপ হবে বলেই নয়, ত্বকে ট্যাটু করাতে গেলে যে পারদর্শীতা প্রয়োজন, তা একজন ভাল শিল্পী না হলে থাকে না। তাই সতর্ক থাকুন শিল্পী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে।

নকশা: যে ছবি বা কোটেশন আঁকাতে চাইছেন, তা আপনার মত, রুচি ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যায় কি না তা অবশ্যই ভাল করে ভেবে নিন। না হলে পরে যদি কখনও ট্যাটু তুলে ফেলতে ইচ্ছে হয়, তা হলে কিন্তু সমস্যা হবে। এমন ট্যাটু করান যা সারাজীবনের সঙ্গী হলে আফসোস হবে না মোটেই।

আরও পড়ুন: ডায়াবিটিস রুখতে প্রোটিন ইঞ্জেকশনের ভাবনা ভারতীয় গবেষকদের! কতটা কার্যকর?

খরচ: সস্তায় ট্যাটু করানোর দিকে ঝোঁকেন অনেকেই। তবে বাস্তবটা একটু আলাদা। ভাল মানের কালি, রং ও সূচের জন্য ট্যাটু করতে বেশ খরচ হয়। ট্যাটুর আকার ও নকশার উপরও ট্যাটুর খরচ নির্ভর করে। তাই ইনফেকশন বা ত্বকের অন্য কোনও সমস্যা এড়াতে দাম দিয়ে ট্যাটু করানোই কিন্তু বুদ্ধিমানের কাজ।

মনকে আগে থেকেই প্রস্তুত করুন: ট্যাটুর যন্ত্রণা থেকে জ্বরও আসতে পারে। ব্যথা সারতে অন্তত সপ্তাহ দুই-তিন সময় লাগে। এই সময়টা সাবধানে থাকুন। দরকারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy