মাথা যন্ত্রণা অন্য কোনও অসুখের সঙ্কেতও বহন করে। ছবি: শাটারস্টক।
সামান্য মানসিক চাপ পড়লেই মাথা দপদপ, রগের দু’পাশ ধরে যন্ত্রণা, নইলে মাথা-ঘাড় জুড়ে ব্যথা। মাইগ্রেন বা সাইনাস না থাকলেও এই রকম মাথা যন্ত্রণার শিকার হয়ে থাকেন অনেকেই। মাথা ব্যথা কিন্তু শরীরের অন্য কোনও সমস্যারও ইঙ্গিত বহন করে। তাই মাথা ব্যথার অনুষাঙ্গিক অন্য কোনও সমস্যা যোগ হলে আজই সাবধান হোন।
সর্দিতে মাথা যন্ত্রণা হওয়া আর মাঝে মাঝেই মাথা ব্যথায় কাবু হয়ে পড়া এক জিনিস নয়। মাথা যন্ত্রণার সঙ্গে ঝাপসা দেখা বা চোখ থেকে জল পড়ার মানে দৃষ্টিশক্তির সমস্যাও হতে পারে। আবার এর সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা চোখে অন্ধকার দেখার অর্থ কিন্তু মস্তিষ্কের স্নায়ুগত কোনও সমস্যাও হতে পারে। অনেকেরই মাথার সঙ্গে ঘাড়ে ব্যথা, গা-বমি ভাব এ সবও হয়ে থাকে, তখন আবার ইঙ্গিত যায় মাইগ্রেনের দিকে। আবার মাথার পিছন দিকে ঘন ঘন অসহ্য যন্ত্রণা কিন্তু কোনও টিউমার জাতীয় অসুখ থেকেও হতে পারে।
তাই মাঝে মাঝেই মাথা ব্যথা হলে সচেতন হতে হবে বইকি। কপাল জুড়ে মাথা যন্ত্রণা, না কি মাথার পিছন দিকে ধীরে ধীরে ব্যথা ছড়িয়ে পড়া— ঠিক কী ভাবে আর কোথায় যন্ত্রণা হচ্ছে তার উপরেও নির্ভর করে চিকিৎসা। তাই মাথা যন্ত্রণায় বার বার ভুগলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কিন্তু সব সময় চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সুযোগ বা সময় হয় না, আবার ওষুধ খেলেই যে সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা কমে যায় এমনটাও নয়।
আরও পড়ুন: খুকখুকে কাশি, ঘুষঘুষে জ্বর? কী বলছেন চিকিত্সকরা
শরীর-সাস্থ্য নিয়ে এ সব তথ্য আগে জানতেন?
আরাম পেতে আধ ঘণ্টা চোখ বুজে বিশ্রাম নিন।
অনেকেই মাথা যন্ত্রণা কমাতে প্যারাসিটামল বা বেদনানাশক ওষুধ খান। যখন তখন সে সব ওষুধ খাওয়া শরীরের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। তাই কিছুটা ঘরোয়া উপায়ও অবলম্বন করতে হয় আমাদের। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে এই সব উপায় মেনে চললেও মাথা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে। তবে তা বলে চিকিৎসাকে অবহেলা করবেন না যেন!
কফি ও চা-এ না: মাথা যন্ত্রণা হলেই চা বা কফির উপর নির্ভর করেন অনেকেই। আমাদের ধারণা চা বা কফি মাথাব্যথা সারায়। আসলে কফির ক্যাফিন স্নায়ুকে উদ্দীপ্ত করে ফলে ব্যথা কমেছে বলে মনে হয়। সে ধারণা ভুল। উল্টে মাথা ব্যথা সারাতে বেশি মাত্রায় চা-কফি শরীরের অন্য জটিলতা ডেকে আনতে পারে ও ক্যাফিন নির্ভর করে তুলতে পারে, যা ক্ষতিকর।
নিরুদ্বেগ বিরাম: মাথা যন্ত্রণার বাড়বাড়ি হলে কখনও কাজের মধ্যে থাকবেন না। সম্ভব হলে অন্ধকার ঘরে চোখ বুজে বসে থাকুন। চেষ্টা করুন পছন্দের গান শুনতে। এসি চালাবেন কি না তা নির্ভর করবে ঘরের আবহাওয়া কেমন পছন্দ করবেন তার উপর। আধ ঘণ্টা চোখ বুজে বিশ্রাম নিতে নিতে কোনও রকম মোবাইল চেকিং, গেম খেলা, টিভি দেখা এ সব করবেন না।
আরও পড়ুন: শিশুকে টিফিন দেওয়ার সময় এই ভুল আপনিও করেন? অসুস্থ করে তুলছেন অজান্তে
উগ্র গন্ধ থেকে দূরে থাকুন।
উগ্র গন্ধ এড়ান: পারফিউম, ধূপধুনো বা রুম ফ্রেশনারের উগ্র গন্ধ থেকেও মাথা যন্ত্রণার সূত্রপাত হতে পারে। এমন হলে সে সব গন্ধ থেকে এই সময়টা দূরেই থাকুন। সাবান, ময়শ্চারাইউজারের গন্ধও এড়িয়ে চলুন এ ই সময়।
মাসাজ: মাথা যন্ত্রণার ঘন ঘন প্রভাব এড়াতে ফিটনেস এক্সপার্টদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। মাথা যন্ত্রণা কমার কিছু মাসাজ আছে। ঘাড়ের ব্যায়াম, প্রাণায়ম এ সব থেকেও অনেক রকম মাথা যন্ত্রণা কমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy