প্রতি দিনের খাবারে রাখতে হবে এমন কিছু উপাদান, যা শরীরে খনিজের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
ঘটা করে বন্ধুদের ডেকে ৪০ বছরের জন্মদিন উদ্যাপন করেছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া করার পর বাড়ি যাওয়ার আগে এক বন্ধু হঠাৎ কানের কাছে এসে বলে গেল, “আমরাও বুড়ো হচ্ছি। এ বার তো চালশে পড়তে শুরু করবে!” সেই থেকেই মাথার মধ্য ঘুরপাক খাচ্ছে কথাটা। পাঁচ বছর আগেও যেমন চনমনে ছিলেন, এখন তেমনটা নেই। অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত লাগে। ওজনও বাড়তির দিকে। অন্যান্য রোগ শরীরে হানা দেওয়ার আগেই নিজের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া জরুরি। ৪০-এর পর থেকে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে না পারলে বয়সকালে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে শুরু করবে। বয়স যা-ই হোক, সুস্থ থাকতে খাওয়াদাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কী খাচ্ছেন, তার উপর অনেকাংশ নির্ভর করে স্বাস্থ্যের হাল কেমন থাকবে। তাই প্রতি দিনের খাবারে রাখতে হবে এমন কিছু উপাদান, যা শরীরে খনিজের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।
১) ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার ডায়াবিটিস ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া, পরিপাকক্রিয়া উন্নত করতেও ফাইবার দারুণ কার্যকর। মুসুর ডাল, শাক, বাদাম, ড্রাই ফ্রুটস, মটরশুঁটি, ওটসের মতো ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার ৪০ পেরোনোর পর প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় পুরুষদের রাখা জরুরি।
২) উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি এড়াতে কম সোডিয়াম যুক্ত খাবার বেশি করে খান। কলা, পালং শাক ছাড়াও বেশ কিছু সব্জি ও ফলে সোডিয়ামের পরিমাণ কম। এই ধরনের খাবার শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে।
৩) ৪০ পেরোনোর পর থেকে পেটের নানা গোলমাল লেগেই থাকে। গ্যাস জমে জমে আরও অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ভরসা রাখতে নিয়ম মেনে চলতেই হবে।
৪) ফল, শাকসব্জি বেশি করে খেতে হবে। কারণ এই খাবারগুলিতে ভিটামিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং খনিজ যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। এগুলি সার্বিক ভাবে যত্ন নেয় শরীরের। বাড়িয়ে তোলে প্রতিরোধ ক্ষমতা।
৫) শাকসব্জি, ফলমূল ছাড়াও বাদাম, নানা ধরনের শস্যতেও ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। চল্লিশের পর হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে এগুলি খাওয়া জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy