হাতি হাজির রেস্তঁরায়।
চাই সওয়া ১ কেজি ভাত আর রুটি। সঙ্গে পৌনে ১ কেজি ভেজা ছোলা, আধ কেজি শুকনো ধান, ১ কেজি ডাল, ৫ কেজি কলা, পৌনে ১ কেজি আখের গুড়। তবে সবচেয়ে বেশি চাই ৫০ কেজি ভুসি। এখানেই শেষ নয়, শেষ পাতে দরকার গোটা ৪০ আখ। আর শ’খানেক গ্রাম নুন না হলে তো খাবার পুরো আলুনি থেকে যাবে। এমন একটা মেনু কার্ড নিয়ে রেস্তঁরার সামনে কেউ হাজির হলে, পেট ভরানোর মতো খাবার পাওয়া যাবে তো? হালে এমনই প্রশ্ন তোলা হয়েছে চিড়িয়াখানার তরফে। নেটমাধ্যমে তাদের এই অভিনব প্রশ্ন হঠাৎই জনপ্রিয়।
হালে আলিপুর চিড়িয়াখানা নেটমাধ্যমে তাদের পাতা তৈরি করেছে। নিত্য সেখান থেকে প্রকাশ করা হচ্ছে নানা ছবি এবং বার্তা। তাই নিয়েই হইচই নেটাগরিকদের মধ্যে। যেমনটা হয়েছে, উপরের মেনু কার্ডটি নিয়েও। তবে এত ক্ষণে এ কথা নিশ্চয়ই পরিষ্কার, এই মেনু কোনও মানুষের নয়। এ খোদ হাতির মেনু। প্রতিদিন এই পরিমাণ খাবারই খায় ঐরাবতের বংশধরেরা। মেনুর সঙ্গে চিড়িয়াখানার তরফে প্রকাশ করা হয়েছে একটি হাতির কার্টুনও। সেই ‘কার্টুন’ হাতির প্রশ্ন, ‘আপনার রেস্তঁরায় এ সব পাওয়া যায় কি’? এর পরেই নেটাগরিকদের কৌতূহল, এ বার কি তা হলে একে একে আসছে বাঘ, কুমির, খরগোশ, গোসাপের মেনু কার্ডও?
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আলুপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত জানালেন, এখনই অন্য কোনও প্রাণীর মেনুকার্ড প্রকাশের পরিকল্পনা নেই। ‘‘আমরা আমাদের নেটমাধ্যমের পাতাটি নতুন করে সাজাচ্ছি। ২ মাস হল এক সংস্থাকে তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটিই নানা ধরনের পোস্ট দিয়ে চিড়িয়াখানার সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা করে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসেও এমন ধরনের পোস্ট দেওয়া হয়েছে। যা শুধু নেটাগরিকদের মধ্যে নয়, চিড়িয়াখানার কর্মীদের মধ্যেও খুব জনপ্রিয় হয়েছে।’’
এর পরেও আবার সেই একই প্রশ্ন। হাতির পরে কে? এ বার কি বাঘ নাকি বার্মার পাইথন? কার মেনু কার্ড দেখতে পাওয়া যাবে? চিড়িয়াখানার কর্তা অবশ্য এখনই তার উত্তর দিচ্ছেন না। বলছেন, অপেক্ষায় থাকতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy