ছবি: সংগৃহীত।
এ বছর মে মাসেই ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর দাপট দেখেছে রাজ্যবাসী। সেই বিপর্যয়ের ৪ মাস ফের আরও এক বার ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে বঙ্গজীবনে। বুধবার মধ্যরাতেই শক্তি বাড়িয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। বৃহস্পতি রাত এবং শুক্র সকালের সন্ধিক্ষণে এই ঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়তে বলে অনুমান হাওয়া অফিসের। যদিও স্থলভাগে এই ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার গতি ১২০ কিলোমিটার হতে পারে। রাতে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা থাকলেও, সকাল থেকেই একটানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে। সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। খানিকটা অনুমান করা যাচ্ছে ‘দানা’ হানা দিতে চলেছে শীঘ্রই। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে আগে থেকেই। নিজেকে এবং পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বপ্রস্তুতি হিসাবে কোন কাজগুলি করবেন না?
১) বাড়ির ছাদে বা আশপাশে এমন কোনও জিনিস রাখবেন না, যা উড়ে গিয়ে কারও আঘাত লাগতে পারে। এই খুঁটিনাটি বিষয়গুলি মাথায় না রাখলে দুর্যোগের সময় বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে।
২) ঝড়ের তাণ্ডব চলাকালীন বিদ্যুৎ সংযোগ না-ও থাকতে পারে। কোনও সমস্যা হলে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম মোবাইল। তাই মোবাইলে চার্জ রাখা জরুরি। ঝড়ের আগে মোবাইল ব্যবহার কম করলেই ভাল। তাতে অন্তত চার্জ থাকবে। বজ্রপাতের সময় মোবাইলে কথা বলা থেকে, এমনকি বজ্রপাতের ছবি তোলা থেকেও বিরত থাকুন।
৩) দরজা-জানলা খুলে রাখবেন না। প্রকৃতির মতিগতি আগে থেকে বোঝা দুষ্কর। যে কোনও সময় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে। তাই দরজা-জানলা আঁটসাঁট করে বন্ধ রাখুন।
৪) মিক্সি, মাইক্রোওয়েভ অভেন কিংবা অন্যান্য বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি ব্যবহার বন্ধ রাখুন। বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। দেখে নেবেন বাড়ির সব যন্ত্রপাতির সুইচ যেন বন্ধ থাকে।
৫) একান্ত দরকার না পড়লে বাইরে বেরোবেন না। আর যদি কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে বাইরে বেরোতেই হয়, গাছ আছে এমন স্থানে যাবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy