ব্যক্তিত্ব দিয়ে মন জয় করার পথে কি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে আপনার হাসি? ছবি: সংগৃহীত
প্রেমিক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে নাকি নেই— সে প্রশ্ন নয়। এমনিতেই যে পুরুষেরা বেশি হাসেন, তাঁদের ব্যক্তিত্বের প্রতি মহিলারা কম আকৃষ্ট হন। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা এটাই বলছে।
ব্রিটিশ কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কয়েক বছর আগে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেখানে বেশ কয়েক জন পুরুষের ছবি ১ হাজার মহিলার সামনে রাখা হয়। ছবিগুলিতে পুরুষদের ৪ ধরনের শরীরী ভাষা এবং মুখভঙ্গী দেখানো হয়েছিল। হাসিখুশি, গর্বিত, লজ্জিত এবং সাধারণ। এর পরে ওই ১ হাজার মহিলাকে অনুরোধ করা হয়, তাঁরা যেন মুখভঙ্গিমার প্রেক্ষিতে ব্যক্তিত্বের বিচারে ওই চার ধরনের পুরুষদের নম্বর দেন। দেখা গিয়েছিল, খুব হাসিখুশি পুরুষদের মহিলারা সবচেয়ে কম নম্বর দিয়েছেন। মজার কথা, লজ্জিত শরীরী ভাষাও এগিয়ে রয়েছে সেই বিভাগের থেকে। হালে আবারও একই ধরনের সমীক্ষা চালানো হয়েছে। সেখানেও দেখা গিয়েছে, পরীক্ষার ফল আগের মতোই এসেছে।
কেন এমন হয়? এ প্রশ্নের উত্তর এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তরফে দেওয়া হয়নি। তবে ‘আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশ’-এর মনোবিদদের দাবি, এ কথা সত্যি, যেখানে কথা বলার উপায় নেই, সেখানে এক জনের মুখভঙ্গী বা শরীরী ভাষা তাঁর ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে উল্টো দিকের মানুষটির মনে একটা ধারণার জন্ম দেয়। যদিও ব্রিটিশ কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষায় নানা বর্ণ, নানা সম্প্রদায় এবং নানা বয়সের মহিলাদের রাখা হয়েছে, কিন্তু ‘আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশ’-এর মনোবিদদের বক্তব্য, এই ১ হাজার জনকেই সারা পৃথিবীর মহিলাদের প্রতিনিধি ভাবার কারণ নেই।
ব্রিটিশ কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, এর পিছনে কী কারণ থাকতে পারে, সেটা আরও খুঁটিয়ে দেখতে হবে। হয়তো আদি যুগ থেকে চলে আসা সামাজিক কাঠামোর একটা প্রভাব থাকতে পারে এর উপর। তাঁদের দাবি, বিষমকামী মহিলারাও প্রেমিক হিসেবে সেই সব পুরুষদের কম পছন্দ করেন, যাঁরা বেশি হাসেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy