প্রতীকী ছবি।
সারা দিনের ক্লান্তির পর রাতে যদি পরিপূর্ণ ঘুম না হয়, তা হলে শুধু শরীর নয়, মেজাজটাও বিগড়ে থাকে। রাতে ঠিক মতো ঘুম না হওয়ার একাধিক কারণ থাকতে পারে। তবে ইদানীং আরও একটি নতুন কারণ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে চিকিত্সকমহলে। জিভে অতিরিক্ত চর্বি জমার ফলেও নাকি ঘুমের সমস্যা হচ্ছে!
সম্প্রতি একটি মার্কিন জার্নাল ‘রেসপিরেটরি অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন’-এ গবেষণালব্ধ এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই বিজ্ঞানীরা এই বিষয়টির উপর গবেষণা করে আসছেন। ২০১৪ সালে বিজ্ঞানী রিচার্ড স্কোয়াব অনিদ্রায় ভুগতে থাকা রোগীদের পরীক্ষা করে দেখেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই জিভ সুস্থ মানুষদের থেকে তুলনামূলক লম্বা এবং তাতে চর্বির পরিমাণও বেশি।
বিজ্ঞানী রিচার্ড ছিলেন পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। এর পরের ধাপ ছিল জিভে উপস্থিত ওই চর্বির পরিমাণ কমিয়ে এনে ওই সব রোগীদের ঘুমের কোনও পরিবর্তন হয় কি না তা পর্যবেক্ষণ করা। অনিদ্রায় ভোগা ৬৭ জন রোগীর উপর তিনি এবং তাঁর দল এই পরীক্ষা চালান। তবে এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, যে ৬৭ জন রোগীর উপর তিনি গবেষণা চালাচ্ছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ওবেসিটিতে আক্রান্ত ছিলেন। তাই জিভের চর্বির সঙ্গে দেহের অন্যান্য অংশে সঞ্চিত চর্বির ঘুমের উপর প্রভাব আলাদা করে বোঝার জন্য তিনি আর একটি উপায় বার করেন।
আরও পড়ুন: ব্যবহার করা চা পাতা ফেলে দেন? এ সব জানলে ওই ভুল আর করবেন না
আরও পড়ুন: ওরাল সেক্স থেকে ক্যানসার! কেন হয়, উপসর্গই বা কী?
ডায়েট, অস্ত্রোপচার, শরীরচর্চার মাধ্যেমে আগে রোগীদের দেহের অন্যান্য অংশের চর্বির পরিমাণ কমিয়ে আনেন তিনি। তারপর লক্ষ্য করেন, তাতে তাঁদের ঘুমের উপর কোনও প্রভাব পড়েছে কি না। দেখা যায়, ঘুমের উপর কিছুটা হলেও প্রভাব পড়ছে, তবে তার পরিমাণ খুবই কম। কিন্তু জিভের চর্বির পরিমাণ যখনই কমিয়ে আনা হয়, সেই মুহূর্ত থেকেই রোগীদের ঘুমের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy