কাঠের তৈরি
বাড়ি হোক বা ফ্ল্যাট... প্রত্যেক দিনই মনে হয়, সেখানে জায়গা কম পড়ছে। আর একটা ঘর থাকলে ভাল হত। একটা ছোট কর্নার যদি থাকত মনের মতো! তার জন্য সাহায্য নিতে পারেন রুম ডিভাইডারের। কাঠ, ধাতু থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেটেরিয়ালের রুম ডিভাইডার পেয়ে যাবেন। ঘরের কোথায় তা রাখবেন, সেখানে আলো কতটা আসে, সেই সব কিছু দেখে নিয়েই বাছতে হবে।
কাচের দেওয়াল: ধরুন বাড়ির মধ্যেই একটা কর্নার অফিস করবেন। কিন্তু জায়গা বেশি নেই। সে ক্ষেত্রে ঘরে ঢুকেই সামনের কিছুটা অংশ আর ভিতর বাড়ির মাঝে অনচ্ছ কাচের দেওয়াল তুলে দিতে পারেন। এতে অন্দরমহলের গোপনীয়তা যেমন সুরক্ষিত থাকবে, তেমনই কাজের জায়গাও পেয়ে যাবেন। ডাইনিং ও ড্রয়িং রুমের ভাগ করতেও মাঝে কাচের ডিভাইডার রাখতে পারেন। আঁকার শখ থাকলে গ্লাস পেন্টিং করে নিতে পারেন।
পর্দা না উঠাও: খুব বেশি খরচ করতে না চাইলে সিলিং থেকে হুক লাগিয়ে নিন। সেখান থেকে ঝুলিয়ে দিতে পারেন সুন্দর নকশা করা ভারী পর্দা। বাড়িতে কাজ করা শাড়ি বা ওড়না থাকলে সেগুলিও ব্যবহার করতে পারেন পার্টিশন হিসেবে।
তাক থাকুক মাঝখানে: শেলফ বানিয়ে নিতে পারেন। তাতে বই, শো পিস, ভাস সাজিয়ে রাখুন। দেখতেও ভাল লাগবে। কাজেও দেবে। নীচের অংশে স্টোরেজ বানিয়ে নিন।
সঙ্গে সবুজ: ইনডোর প্লান্টের কথাও ভাবতে পারেন। তার জন্য ডিভাইডারে ভার্টিকাল গার্ডেনিং করা যেতে পারে। এতে জায়গাও সাশ্রয় হবে। টবেও গাছ লাগাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ডিভাইডারে টব রাখার জায়গা রাখতে হবে।
ব্ল্যাকবোর্ড ডিভাইডার: কাঠে বাঁধানো বড় কালো বোর্ড রাখতে পারেন মাঝখানে। এতে প্রত্যেক দিনের রুটিন বা কোনও নোট লিখে রাখতে পারেন। বাড়িতে অতিথি এলে তাঁদেরও কিছু লেখার জন্য অনুরোধ করতে পারেন। বেশ নতুন ধরনের হবে এই ব্ল্যাকবোর্ড ডিভাইডার। পরিবারে খুদে সদস্য থাকলে হাতে চক নিয়ে পড়াতেও বসে যেতে পারেন।
আউট অফ দ্য বক্স: প্রত্যেকের বাড়িতেই জিনিস রাখার সমস্যা। ঘরের চারপাশেই জামাকাপড় থেকে শুরু করে ঘড়ি, চিরুনি, ওড়না... কত কিছুই ছড়িয়ে পড়ে থাকে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে কিছু বক্স দিয়ে ডিভাইডার বানিয়ে নিতে পারেন। এতে একটু জায়গা বেশি লাগবে। তবে প্রত্যেকটা বক্স স্টোরেজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
শুষ্কং কাষ্ঠং তিষ্ঠতি: চিরাচরিত সেই কাঠের ডিভাইডারও বসাতে পারেন। তার লুক হতে পারে নতুন ধরনের। বেশ ক’টি কাঠের লাঠি নিয়ে ভার্টিকালি বা হরাইজ়ন্টালি ঝুলিয়ে দিলেন। তার গায়ে জড়িয়ে দিতে পারেন স্ট্রিং লাইট। খুব সুন্দর দেখতে লাগবে। কাঠের ফল্স দরজা বা জানালা তৈরি করেও মাল্টি কালার করে রেখে দিতে পারেন ঘরের মাঝে। স্টেটমেন্ট পিসের মতোই নজর কাড়বে তা।
ডিভাইডার যেমনই হোক না কেন, নিয়মিত তা পরিষ্কার করা জরুরি। খেয়াল রাখবেন, যেন দু’পিঠই দেখতে সুন্দর হয়। কোনও একটি দিক নষ্ট হয়ে গেলে তা পালটে ফেলাই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy