নিউ নর্মাল জীবনে রেস্তরাঁয় গেলেও মানতে হবে নিয়ম। ছবি: শাটারস্টক
গরম খাবার বা নিজে হাতে খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া যায় এমন ফল ছাড়া বাইরের অন্য কিছু খেতে বারণ করছেন চিকিৎসকরা। করোনা সংক্রমণে বাইরের খাবারের অভ্যাস একেবারে কমে গিয়েছে। রোগ ঠেকানোর ৮০ শতাংশ চাবিকাঠি যেখানে লুকিয়ে আছে হাতের পরিচ্ছন্নতার উপর, সেখানে অন্যের হাতে বানানো, অন্যের হাতে পরিবেশন করা ও অন্যের হাতে ধোওয়া বাসনে খেলে নিরাপত্তার প্রাথমিক শর্ত বিঘ্নিত হবে, এই আতঙ্ক কাজ করেছে অনেকের মধ্যেই।
কিন্তু তা বলে কি মানুষ বাইরে খাচ্ছেন না? সবার রোগ হচ্ছে এমনও নয়। ভাল-মন্দ খাবারের পসরা নিয়ে রেস্তরাঁও আহ্বান জানাচ্ছে। এ সময়ে সব দিক বজায় রেখে একটু মুখের স্বাদ বদলাতে গেলে কী করতে হবে, তা জানতে আগ্রহী সবাই। বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন এ বিষয়ে, জেনে নেওয়া যাক।
কী খাব, কী খাব না
• হোম ডেলিভারিতে আপত্তি নেই, যদি সেই খাবার বাড়িতে এনে ভাল করে গরম করে নেওয়া হয়। সে ডাল-ভাত-মাছের ঝোল হতে পারে, হতে পারে বিরিয়ানি-রোল-পিৎজা-মোমো।
আরও পড়ুন:অতিরিক্ত ওজনে করোনার ফল হতে পারে মারাত্মক, মেদ কমাতে কী কী করতেই হবে
• ঘরোয়া খাবার হলে মোটামুটি নিয়মিত খেলেও অসুবিধা নেই। ফাস্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুড হলে ন-মাসে, ছ-মাসে খাওয়াই ভাল।
মেডিসিনের চিকিৎসক সব্যসাচী সেনের মত, ‘‘নামী রেস্তরাঁ থেকে হোম ডেলিভারি করালে প্যাকেটে হেল্থ কার্ড লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যিনি রান্না করেছেন, যিনি খাবার প্যাক করেছেন, তাঁদের ও ডেলিভারি বয়ের শরীরের তাপমাত্রাও লিখে দেওয়া হচ্ছে সাবধানতার কারণে। তবে সে খাবারও গরম করে খাওয়া উচিত।’’
হোম ডেলিভারিও এখন 'নো টাচ'। ফাইল ছবি।
• ডিসপোজেবল কাপে চা-কফি খেলে এমনিতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কারণ চা-কফির তাপে জীবাণু বেঁচে থাকতে পারে না। তবে সেই কাপে অন্য কেউ হাত দিলে তা নিরাপদ থাকে না।
• অনেকের ইচ্ছে ফুচকা খাওয়ার। বিশেষজ্ঞদের মত, হাত স্যানিটাইজ করে, চোখে-মুখে হাত না দিয়ে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি কেউ ফুচকা বানান, তবে তা খেতে অসুবিধা নেই। তবে সাধারণভাবে হাত দিয়ে বানানো হয় এমন খাবার যেখান সেখান থেকে এখন না খাওয়াই ভাল।
আরও পড়ুন:নিউ নর্মালে সম্পর্ক ভাল রাখতে কী করবেন, কী করবেন না
• আপাতত রেস্তরাঁয় বসে খাওয়া ঠিক নয়। তা-ও যদি কেউ খেতে যান, তাঁকে খেয়াল রাখতে হবে সেখানে যেন সব রকম সতর্কতা মেনে চলা হয়।
শহরের নামী রেস্তরাঁয় যা মেনে চলা হচ্ছে-
• অতিথিদের হাতের সঙ্গে জুতোও স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।
• মেনু কার্ড পাঠানো হচ্ছে মোবাইলে বা টেবল ম্যাটে মেনু লেখা থাকছে।
• ছ-জনের টেবিলে চারজনকে বসানো হচ্ছে।
• দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সব খাবারের অর্ডার এক বারেই নেওয়া হচ্ছে।
• অতিথিরা নিজেরাই খাবার পরিবেশন করে নিচ্ছেন।
হোটেল-রেস্তরাঁর শেফদেরও মাস্ক পরা জরুরি। ফাইল ছবি।
• খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে ডিসপোজেবল পাত্রে।
• পরিবেশনকারীরা মাস্ক, ফেস শিল্ড আর গ্লাভস পরে কাজ করেন। দু-তিনটে টেবিল সার্ভ করার পরেই তাঁকে বিশ্রাম দিয়ে, অন্য কর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন:করোনা আবহে দোসর বৃষ্টি, হঠাৎ জ্বরে কী করবেন?
• কার্ডে বিল মেটানোর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। সোয়াইপ মেশিন বার বার স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।
• যাঁরা খাবার বানাচ্ছেন, তাঁরা সুস্থ কি না, দেখে নেওয়া হচ্ছে তা-ও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy