ঠিক কী কী কারণে অবসাদে ভুগি আমরা? কারণ খুঁজতে গেলে কাজের চাপ, হতাশা, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কষ্ট, একাকীত্বের মতো সমস্যাগুলোই উঠে আসে সামনে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বংশগত কারণেও অবসাদে ভুগতে পারে মানুষ। মোট ১৭টি জিনের খোঁজ পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা যা এমডিডি বা মেজর ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডারের কারণ হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মুহূর্তে বিশ্বের ৩৫ কোটি মানুষ অবসাদের শিকার। এগের মধ্যে বেশির ভাগের মধ্যেই মুড পরিবর্তন, ক্লান্তি, ঘুম ও খিদে কমে যাওয়ার মতো ছোটখাট অবসাদের লক্ষণ দেখা যায়। এই বিষয় অনলাইনে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের মুখ্য গবেষক রয় পেরিলিসের নেতৃত্বে একদল গবেষক। যেখানে অবসাদে ভোগা সাড়ে ৪ লক্ষ মানুষের ওপর সমীক্ষা চালান তাঁরা। এদের মধ্যে ১ লক্ষ ২১ হাজার জনের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে অবসাদে ভোগার। এই গবেষণার ফলকে জেনেটিকস অব ডিপ্রেশনের এক যুগান্তকারী আবিষ্কার বলেছেন ইউরোপীয়ন কলেজ অব নিউরোসাইকোফার্মাকোলজির গবেষক এলিসাবেথ বিনডর। লন্ডনের সায়েন্স মিডিয়া সেন্টারে তিনি বলেন, এই গবেষণার ফল প্রতিষ্ঠিত হলে ভবিষ্যতে অবসাদে ভোগা রোগীদের ডায়গনসিস করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। যদিও, এই গবেষণাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ লস অ্যাঞ্জেলসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার জোনাথন ফ্লিন্ট। তাঁর মতে, এই রোগীরা মুখে তাঁদের পরিবারের অবসাদের ইতিহাসের কথা জানিয়েছেন। কোনও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার রিপোর্ট তাঁরা দেখাতে পারেননি।
নেচার জেনেটিকস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণার ফল।
আরও পড়ুন: অবসাদে ভুগছেন? এগুলো খান, মন ভাল হবে, ওজনও বাড়বে না
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy