ডিমেনশিয়ার কারণে শুধু মানসিক সমস্যাই নয়, হৃদরোগও হতে পারে।
রাতে কম ঘুমোনো কৃতিত্বের নয়। বরং তা ডেকে আনতে পারে ডিমেনশিয়া!
এক কালে কথায় কথায় বলা হত, জীবনের ৩ ভাগের ১ ভাগ ঘুমিয়ে কাটায় মানুষ। তা নিয়ে ভাল-মন্দ কথারও শেষ ছিল না। নিজের দিনটা বড় করে নেওয়া, সময়টা বেশি কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে করতে এমন হল যে, অধিকাংশের রোজের জীবনে ঘুমের গুরুত্ব প্রায় তলানিতে। সমস্যা এমনই আকার নিয়েছে যে, রাতে কম ঘুম হওয়াকে মহামারি বলতে বাধ্য হচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ এই ব্যবস্থা ডেকে আনছে নানা রকমের অসুস্থতা। এর থেকে শুধু ডিমেনশিয়াই নয়, মানসিক চাপ, হাটের্র অসুখ, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা— ভয় বাড়ছে সবেরই।
অনেকেরই মনে হয় কাজের চাপ বেশি না থাকলে, রাতে কম ঘুমোলেও অসুবিধে নেই। আসলে রাতে নিয়মিত কম ঘুম থেকে আসে এক অপূরণীয় ক্লান্তি। দিনেরবেলা কয়েক ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিয়ে সে ক্লান্তি থেকে মোটেই নিস্তার পাওয়া সম্ভব নয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এক রাতের কম ঘুমও রীতিমতো ক্ষতিকর। সেই ক্লান্তিই ধীরে ধীরে ডেকে আনতে পারে স্মৃতিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যা। উল্টো দিকে, পর্যাপ্ত ঘুম যে কাউকে অনেক বেশি চনমনে রাখে, বাড়ে ততই কর্ম ক্ষমতাও। মনোরোগ চিকিৎসক অনিরুদ্ধ দেব এ বিষয়ে বলেন, ‘‘কম ঘুম হওয়া এখন দিন দিন মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। এর থেকে শুধু মানসিক সমস্যাই নয়, হৃদরোগও হতে পারে।’’ তাঁর বক্তব্য, মানুষের স্বাভাবিক নিয়ম হল দিনে জেগে কাজ করা এবং রাতে আট ঘণ্টা ঘুমোনো। সেই নিয়ম না মানতে পারার ফলেই দিন দিন জীবনধারা সংক্রান্ত নানা ধরনের অসুস্থতা বাড়ছে।
হৃদরোগ চিকিৎসক শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, কম ঘুম থেকে হার্টের সমস্যা রীতিমতো গুরুতর। তিনি বলেন, ‘‘রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে রক্তচাপ বাড়ে। এস্কেমিক হাটের্রও সমস্যা হতে পারে।’’ ফলে রাত জেগে সিনেমা তো দূরের কথা, কাজটাও কম করলেই ভাল থাকবে শরীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy