গোটা দুনিয়া ঘরবন্দি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আর্থিক স্বাধীনতা হারিয়েছেন মহিলাদের বড় অংশ।
বহু পরিসংখ্যানেই এর আগে বলা হয়েছিল, কোভিড-কালে কাজ হারানোর নিরিখে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মহিলারা। বুধবার উপদেষ্টা সংস্থা ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সমীক্ষায় উঠে এল, জ্বালানি এবং খাদ্যপণ্যের চড়া দাম জীবনযাপনের খরচকে যেখানে ঠেলে তুলেছে তারও সর্বাধিক মাসুল গুনছেন মহিলারাই। যা বিশ্ব জুড়ে কর্মযোগ্য হওয়ার চৌহদ্দিতে পুরুষদের থেকে আরও পিছিয়ে দিচ্ছে তাঁদের। বাড়ছে লিঙ্গ-বৈষম্য।
ডব্লিউইএফ-এর রিপোর্ট বলছে, অতিমারির সঙ্কট কমতে থাকলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী এই বৈষম্য কমেনি। বরং জীবনযাপনের বাড়তে থাকা খরচের ধাক্কায় মহিলারা যে ভাবে পিছিয়ে গিয়েছেন, তাতে সমতা আনতে অন্তত ১৩২ বছর লাগবে। এ ক্ষেত্রে মূলত যে চারটি বিষয়ে ফারাক কমানো জরুরি, সেগুলি হল— বেতন এবং আর্থিক সুবিধা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন।
গত দু’বছরে সংক্রমণের সঙ্গে যুঝতে গোটা দুনিয়া ঘরবন্দি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আর্থিক স্বাধীনতা হারিয়েছেন মহিলাদের বড় অংশ। অনেকে চাকরি-বাকরি খোঁজার অবস্থাতেই নেই। ডব্লিউইএফ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাদিয়া জ়াহিদির বক্তব্য, অতিমারির সময় কাজ হারিয়েছেন অনেকে। বাড়িতে বয়স্ক মানুষ এবং শিশুদের দেখাশোনা করার মতো যথেষ্ট পরিকাঠামো না থাকায় অনেকেরই বাইরে বেরনোর সুযোগ হারিয়ে যায়। এ বার তাঁরাই জীবনযাপনের বাড়তে থাকা খরচের মাসুল গুনছেন সব থেকে বেশি। তাঁর বক্তব্য, এত দিন ধরে অর্জন করা অর্থনীতির সুফলগুলি যাতে স্থায়ী ভাবে হারিয়ে না যায়, সেই জন্যই মহিলাদের কাজে ফেরা দরকার। এর জন্য উদ্যোগী হতে হবে প্রতিটি দেশের সরকার এবং শিল্পকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy