Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
coronavirus

র‌্যাপিড কিটে সম্পূর্ণ সায় নেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার, তবু ভারত কেন এই পথে হাঁটছে?

এই র‌্যাপিড টেস্ট কী ভাবে কাজ করে এবং ‘হু’ কেন এই টেস্ট নিয়ে খুঁতখুতে?

অ্যান্টিবডিভিত্তিক র‌্যাপিড টেস্টেকেই আঁকড়ে ধরতে চাইছে ভারত। ছবি: এএফপি।

অ্যান্টিবডিভিত্তিক র‌্যাপিড টেস্টেকেই আঁকড়ে ধরতে চাইছে ভারত। ছবি: এএফপি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২০ ১৪:৫৫
Share: Save:

করোনা-হানা ঠেকাতে সব জায়গায় অ্যান্টিবডি ভিত্তিক র‌্যাপিড ডায়াগনিস্টিক কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিষেধ করছে। উল্টে করোনা ঠেকাতে বারংবার পিসিআর বা পলিমারেস চেন রিঅ্যাকশন পরীক্ষার উপরই জোর দিতে চাইছে ‘হু’। অন্য দিকে আইসিএমআর ইতিমধ্যেই ৪৫ লক্ষ ওই র‌্যাপিড কিট বিদেশ থেকে আমদানি করছে। বৃহস্পতি বার চিন ইতিমধ্যে ৩ লক্ষ কিট পাঠিয়েও দিয়েছে।

আইসিএমআর-এর দাবি, র‌্যাপিড ডায়াগনিস্টিক কিটের মাধ্যমে এই রোগের ক্লাস্টারগুলিকে চিহ্নিত করা যাবে। এতে রোগের সঙ্গে লড়াই সহজ হবে। এই ভাবে ক্লাস্টারগুলি চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে আগামী দিনের জন্য ভাইরাসের সম্ভাব্য উৎসগুলিকে চিহ্নিত করাও সহজ হবে। এর পরের ধাপ হবে সংক্রমিত ব্যক্তিদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া। তেমনটা করতে পারলে আক্রান্তদের থেকে ভবিষ্যতে ওই এলাকাতে রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা রোধ করা যাবে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশগুলি তো বটেই, এমনকি, তুলনামূলক নিরাপদে থাকা কিছু দেশও এই র‌্যাপিড টেস্টকে আঁকড়ে ধরতে চাইছে। ভারত সরকারও এই টেস্টে আস্থা রাখতে চাইছে।

অ্যান্টিবডি ভিত্তিক এই র‌্যাপিড কিটই বিদেশ থেকে আমদানী করছে ভারত।

এই দুই টেস্টে কোথায় ফারাক?

সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নন্দীর অভিমত, একটি সংক্রামক ব্যাধি নির্ণয়ের যে কোনও টেস্টের কার্যকারিতা স্থান, কাল, পাত্রভিত্তিক প্রয়োগের উপর নির্ভরশীল। সে দিক থেকে দেখতে গেলে পিসিআর কোভিড ভাইরাসকে নির্ভুল ভাবে নির্ণয় করতে সক্ষম। অর্থাৎ, পিসিআর যদি কোনও রোগীকে ‘পজিটিভ’ বলে দেগে দেয়, তা হলে সে কোনও ভাবেই পরে ‘নেগেটিভ’ হবে না। একে বলে উচ্চমানের স্পেশিফিসিটি। পিসিআরের স্পেশিফিসিটি তাই বেশি। কিন্তু এই টেস্ট যাঁদের নেগেটিভ বলে দিল, তাঁরা যে নেগেটিভই হবেন, পরে আবার টেস্ট করলে পজিটিভের দলে পড়ে যাবেন না, এমন সব সময় হয় না। অর্থাৎ এই টেস্টে অনেক এমন রোগী বাদ পড়ে যান, যাঁদের মধ্যে সত্যিই কোভিডের সংক্রমণ ঘটেছে। ফলে নেগেটিভ নির্ণয়ের বেলায় এই টেস্ট সব সময় নির্ভুল নয়। মানে, এর সেন্সিটিভিটি কম।

ঠিক এই ভাবে র‌্যাপিড ডায়াগনিস্টিক কিটের ক্ষেত্রেও স্পেশিফিসিটি ও সেন্সিটিভিটি কথা দু’টি প্রযোজ্য। সে আবার পজিটিভ রিপোর্ট সব ক্ষেত্রে নির্ভুল ভাবে না দিলেও নেগেটিভ রিপোর্ট সব সময়েই নির্ভুল দেয়। এই টেস্টে কেউ নেগেটিভ হলে ধরে নেওয়া যাবে সে ‘নেগেটিভ’-ই। যদি না সেই মানুষ পরে কোনও কোভিড আক্রান্তের সংস্পর্শে আসেন। তেমন ঘটলে তবেই তার রিপোর্ট বদলাবে। নয়তো তিনি নেগেটিভ-ই থাকবেন। মানে র‌্যাপিড কিটের স্পেশিফিসিটি কম, কিন্তু সেন্সিটিভিটি বেশি।

অমিতাভবাবুর মতে, ‘‘আমাদের দেখতে হবে আমরা কোন উদ্দেশ্যে কোন টেস্ট ব্যবহার করতে চাইছি। যেমন, কোনও হাসপাতালে কোভিডের উপসর্গ নিয়ে কোনও রোগী এলে তার বেলায় আমরা বেশি স্পেশিফিসিটি আছে, মানে পজিটিভ রিপোর্ট নির্ভুল ভাবে দিতে পারে এমন টেস্টই বেছে নেব। সেটা পিসিআর। আবার এই হাসপাতালে পিসিআর টেস্টের বেলায় এমন অনেক রোগী নেগেটিভ আসতেই পারেন, যাঁদের সত্যি সত্যি কোভিড হয়েছে। সে কারণেই কোনও নেগেটিভ রোগীকে নির্দিষ্ট সময়ের পরে আবার পরীক্ষা করাটাই নিয়ম। কারণ তত দিনে ভাইরাসের বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে সংখ্যাবৃদ্ধিও ঘটে গিয়েছে।’’

অন্য দিকে, কোনও একটি স্থানে এই অসুখটি কত মাত্রায় কত জনের মধ্যে ছড়িয়েছে, সেটা যখন জানতে চাওয়া হবে, সেখানে নির্ভুল ভাবে নেগেটিভ রোগীকে নির্ণয় করতে পারে, এমন টেস্ট ব্যবহার করাই বাঞ্ছনীয়। সে ক্ষেত্রে র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট বা র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট— দুটোর মধ্যে যে কোনও একটাকেই বেছে নিতে হবে। কারণ, সেখানে নেগেটিভদের চিহ্নিত করে ফেলতে পারলে তবেই কয়েক জন পজিটিভকে নিয়ে যুদ্ধে নামা যাবে। তা ছাড়া কোনও জায়গায় বিপুল হারে ও দ্রুত রোগ নির্ণয় ও চিহ্নিতকরণের বেলাতেও র‌্যাপিড ডায়াগনিস্টিক কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা ছাড়া উপায় নেই।

যেমন, ধরা যাক, একটি এলাকায় ৫০টি বাড়ি আছে। সেখানকার মোট জনসংখ্যা ধরলাম ২০০জন। এ বার এই ২০০ জনের মধ্যে নেগেটিভের সংখ্যাই অধিকাংশ হলে বা সকলেই নেগেটিভ হলে বোঝা যায়, এলাকায় অসুখ এখনও ছড়ায়নি। যদি ২০০ জনের মধ্যে ১০ জনও কোভিড আক্রান্ত হয়, সে ক্ষেত্রেও বাকি ১৯০ জন যে নেগেটিভ এটা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। তাই এ সব ক্ষেত্রে অ্যান্টিজেন বা অ্যান্টিবডি ভিত্তিক র‌্যাপিড টেস্টেরই দরকার, যেখানে কিনা নেগেটিভ রিপোর্ট নির্ভুল আসবে।

পিসিআর-এর চেয়ে এই র‌্যাপিড টেস্টের আবার কিছু সুবিধাও রয়েছে। পিসিআর আসলে একটি জটিল পদ্ধতি এবং বিশেষ ধরনের গবেষণাগারে ও বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমেই এটি করা সম্ভব। অন্য দিকে র‌্যাপিড টেস্ট খুব সহজে যে কোনও জায়গায়, এমনকি রোগীর বাড়িতে বসে সামান্য এক ফোঁটা রক্তের মাধ্যমেই করে ফেলা যায়। যেখানে পিসিআরের রিপোর্ট আসতে এক দিনেরও বেশি সময় লাগতে পারে, সেখানে র‌্যাপিড টেস্ট ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে করে ফেলা যায়। আর্থিক দিক থেকে পিসিআর আসলে র‌্যাপিড টেস্টের চেয়ে অনেক বেশি ব্যয়সাপেক্ষ।

আরও পড়ুন: হৃদরোগীদের করোনা-হানার ভয় কতটা? সুস্থ থাকতে কী কী করবেন?

তা হলে ‘হু’ কেন এই টেস্ট নিয়ে খুঁতখুতে?

অ্যান্টিবডি ভিত্তিক র‌্যাপিড টেস্টের বেলায় ‘হু’ তেমন সায় না দেওয়ার বেশ কিছু কারণও আছে। কেমন তা? আসলে সংক্রমণের পরে মানুষের শরীরে ভাইরাসবিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হতে শুরু করে ।এবং যত ক্ষণ না পর্যন্ত সেটি নির্দিষ্ট পরিমাণে পৌঁছচ্ছে, তত ক্ষণ এই ধরনের টেস্টে কিছুই ধরা পড়ে না। সেই নির্দিষ্ট পরিমাণে পৌঁছতে সাধারণত, ৭-১০ দিন সময় লাগে। সুতরাং এই অ্যান্টিবডি ভিত্তিক র‌্যাপিড টেস্টের মাধ্যমে কিন্তু সংক্রমণের প্রথম দিন থেকে বা সংক্রমণের ৭ দিনের মধ্যে অসুখকে চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এটি এই টেস্টের অন্যতম অসুবিধা।

দ্বিতীয়ত, কোভিড-১৯ অন্যান্য করোনাভাইরাসের সমগোত্রীয় হওয়ায় মানবশরীর যে অ্যান্টিবডি তৈরি করে সেটা কোভিড ছাড়া অন্য করোনাভাইরাসকে কিছুটা হলেও চিহ্নিত করে ফেলে। এমনিতেই মানুষের শরীরে করোনা গ্রুপের অনেক নিরীহ ভাইরাসও থাকতেই পারে। দেখা যায়, কোভিড-১৯ ছাড়া সাধারণ ও নিরীহ কিছু করোনাভাইরাস (সাধারণ কিছু ফ্লু-এর ভাইরাস) কারও শরীরে থাকলে, তাকেও র‌্যাপিড টেস্ট ‘পজিটিভ’ বলে দেগে দিচ্ছে। অর্থাৎ ‘কোভিড পজিটিভ’ আর ‘করোনা পজিটিভ’— দুটোর মধ্যে ফারাক করতে পারে না। মূলত এই দুটি অসুবিধার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) খোলা মনে সর্বস্তরে এই টেস্টের ব্যবহারে সম্পূর্ণ ভাবে সায় দিতে পারছে না। তবে অতিমারির পরিস্থিতিতে ক্লাস্টার চিহ্নিতকরণের জন্য ও সংক্রমণের ব্যাপ্তি জানার জন্য এই টেস্টের কোনও জুড়ি নেই, এটাও তারা স্বীকার করেছে।

আরও পড়ুন: করোনা-আতঙ্কে ভুগছেন? মন শান্ত রাখুন এ সব উপায়ে

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আইসিএমআরের কী পদক্ষেপ?

র‌্যাপিড ডায়াগনিস্টিক কিট নিয়ে আইসিএমআর-ও আশাবাদী। হটস্পটের এলাকাগুলোয় এর মাধ্যমে টেস্ট করানোতেই সায় তাদের। যেহেতু হটস্পট এলাকায় অনেকের মধ্যেই সংক্রমণের শঙ্কা বেশি, তাই এই সব জায়গায় বিপুল হারে ও দ্রুত রোগ নির্ণয় ও চিহ্নিতকরণ দরকার। তাই এ সব অঞ্চলে র‌্যাপিড ডায়াগনিস্টিক কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু এই র‌্যাপিড ডায়াগনিস্টিক কিটে হওয়া পরীক্ষার পর কোনও কেস পজিটিভ এলে তাকে পিসিআরের মাধ্যমে ফের পরীক্ষা করা উচিত। কারও নেগেটিভ রিপোর্ট এলে সে নিশ্চিত ভাবেই ‘নেগেটিভ’। যদি না পরবর্তীতে তাঁর কোনও উপসর্গ দেখা দেয় বা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার পর রোগাক্রান্ত হন। এবং উপসর্গ যদি কোভিড-১৯-এর ইঙ্গিত দেয়, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা প্রয়োজন বুঝলে ফের পিসিআর-এর মাধ্যমে পরীক্ষা করাতে হবে তাঁর।

আইসিএমআর সম্প্রতি যে ৪৫ লক্ষ কিট কেনা নিয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে এই কিটগুলি সম্পর্কে বিশেষ কিছু বিধিনিষেধের কথাও জানিয়েছে।

• এই প্রতিটা কিটকে ইউপোরিয়ান সিই-আইভিডি অথবা ইউএস-এফডিএ-র দ্বারা স্বীকৃত হতে হবে।

• যদি তা না হয়, তবে অবশ্যই আইসিএমআর-এর নিজস্ব প্রতিষ্ঠান পুনে এআইভি স্বাকৃত হতে হবে।

• যে সব কোম্পানি এই কিট সরবরাহ করবে, তাদের প্রত্যেকের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনেরাল ইন্ডিয়া-র তরফে এই কিট বাজারজাত করার অনুমোদন থাকতে হবে।

• বাজারে প্রচলিত আএনএ নির্ণায়ক অন্য কিটগুলির চেয়ে গুণমানে উন্নত হতে হবে।

আরও পড়ুন: কী ভাবে রোজ মাস্ক পরিষ্কার করবেন?

তা হলে সায় কিসে?

সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নন্দীর মতে, ‘‘কোভিড মোকাবিলার জন্য আমাদের স্থান-কাল মেনে পরিবর্তনশীল রণকৌশলের ব্যবহার প্রয়োজন। কারণ, এই রোগের এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট প্রতিষেধক এবং ওষুধ কোনওটাই আবিষ্কার হয়নি। এই কারণেই আমাদের রণকৌশলটি কয়েকটি পদ্ধতির মাধ্যমে বাস্তবায়িত করা উচিত।’’

কী কী সেই পদ্ধতি?

এক) রোগীর সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা। দুই) মানুষের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণের কতটা ছড়িয়ে পড়ছে তা নিশ্চিত করা। তিন) সংক্রমণের পথ রোধ করা। যার মূল প্রতিরোধের উপায় আইসোলেশন এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। চার) এই রোগটির কারণ, ভাইরাসের চরিত্র, রোগের বিবর্তন নিয়ে আরও বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করা। পাঁচ) বিভিন্ন ওষুধ ও প্রতিষেধকের পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো, এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য নিরন্তর গবেষণা চালানো এবং সেই গবেষণালব্ধ জ্ঞান মানুষের কাজে লাগানো। পাঁচ) এই ভাইরাসের প্রকোপে সমাজ তথা দেশ অর্থনৈতিক ভাবে কতটা এবং কী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার উপরে নজর রাখা এবং এর সঙ্গেই সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া।

লালারস নিয়ে পিসিআর টেস্টেই সায় ‘হু’-র

তাঁর কথায়, যে কোনও টেস্টের কার্যকারিতা স্থান-কাল-পরিবেশ ও উদ্দেশ্যভিত্তিক হয়। ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত দু’টি টেস্টের মাধ্যমে আমরা কোভিড মোকাবিলায় নামতে পারি।

এক) পিসিআরের মাধ্যমে উপসর্গ-সহ ( ক্লিনিক্যালি পজিটিভ) মানুষের লালারস পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া। যাঁরা প্রথম বারে নেগেটিভ হবে সে সব রোগীকে আরও দু’বার বা তিন বার পরীক্ষা করা যেতে পারে। এই পদ্ধতি মূলত হাসপাতাল বা গবেষণাগারের মধ্যেই সীমিত রাখা উচিত।

দুই) যে সব মানুষ কোভিড পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে আসেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও কোয়রান্টাইনে থাকার সময় এই পিসিআর টেস্ট করা যেতে পারে। কারণ সেখানে রোগী এখনও পজিটি‌ভ কি না সেটা জানাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তিন) কিন্তু যখন আমরা একটি এলাকায় কোভিডের সংক্রমণের হার জানতে চাইব বা অন্য কোনও কোভিড রোগী ভাল হওয়ার পরে তাঁর শরীরে কোভিড প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি কতটা তৈরি হয়েছে সেটা জানতে চাইব, তখন আমরা অ্যান্টিবডি ভিত্তিক র‌্যাপিড টেস্ট বিপুল পরিমাণে ব্যবহার করতে পারি। এরই মাধ্যমে আমরা কোভিড-সংক্রমিত এলাকাগুলি চিহ্নিত করা, সমাজে কোভিড-সংক্রমণের মাত্রা নির্ণয় করা এবং কোভিডের ছড়িয়ে পড়ার গতিপ্রকৃতি নির্ভুল ভাবে নির্ণয় করতে পারব।

অতএব বিভিন্ন টেস্টকে প্রয়োজনীয় জায়গায় যুক্তি-সহকারে ঠিক সময়ে প্রয়োগ করলে তবেই এই অতিমারি প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সাফল্য আসবে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

অন্য বিষয়গুলি:

COVID-19 coronavirus Novel Coronavirus WHO
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy