জলে জোর দিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলুন। ছবি: শাটারস্টক।
করোনার ভয়ে আমাদের চিরাচরিত গরমের রুটিনে রদবদল হয়েছে। চিকিৎসকেক নির্দেশ সত্ত্বেও শরীরকে পর্যাপ্ত জলের জোগান দিতেন না অনেকেই। বরং জল কম খেয়ে কথায় কথায় গলা ভেজাতেন নরম পানীয়ে। বিকেল গড়াতে না গড়াতেই বা ছুটির দুপুরেও হাতে হাতে ঘুরত প্রিয় কোনও পানীয়। কিন্তু ইদানীং সকলেই জল খাচ্ছেন ঘণ্টায় ঘণ্টায়।
পর্যাপ্ত জল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সচল রাখে, যা করোনাভাইরাস ঠেকানোর কাজে সহায়তা করে বিস্তর। আবার অন্য দিকে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জল কিন্তু বাড়ায় শরীরে প্রদাহের প্রবণতা, যার হাত ধরে বাড়ে অন্য বিপদ। কাজেই জল খেতে হবে শরীরের প্রয়োজন বুঝে। কার কতটুকু জল প্রয়োজন তা জেনে নিতে হবে পরিবারের চিকিৎসকের থেকে। শরীরের ধরণ, ক্রনিক অসুখ, গঠনপ্রকৃতি, হাড় বা হৃদরোগের সমস্যা ইত্যাদি নানা ফ্যক্টর বুঝে চিকিৎসক ঠিক করে দেবেন, কতটুকু জল শরীরের প্রয়োজন।
“এক এক জনের শরীরের অবস্থা ও ধরণ অনুযায়ী জল খাওয়ার পরিমাণ ঠিক করা উচিত। সাধারণ সুস্থ মানুষ ২.৫-৩ লিটার জল খেতে পারেন। খুব বেশি ব্যায়াম ও ঘরের কাজে করলে প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষ ৩.৫-৪ লিটার খেতে পারেন। তবে তিন লিটারের বেশি জল খেলে চিকিৎসকরে পরামর্শ নিয়েই খাওয়া উচিত। কারণ অতিরিক্ত জলের কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে। এ ছাড়া কোনও রোগের কারণে যদি জল কম খাওয়ার নির্দেশ থাকে, যেমন কিডনির অসুখ, হার্ট ফেলিওর ইত্যাদি তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া জল খাওয়া বাড়াবেন না। উল্টে বরং ক্ষতি হয়ে যাবে।” জানালেন কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ সুব্রত ভৌমিক। তবে শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী জল খেলে, করোনা ঠেকানো ছাড়া আরও কিছু উপকার মিলবে।
আরও পড়ুন: শুধু মাস্ক, স্যনিটাইজার বা হাত ধোওয়া নয়, করোনা ঠেকাতে মেনে চলুন এ সবও
করোনা দূরে রাখতে চাইলে আরও কত দিন মাস্ক পরতে হবে?
জলের দাওয়াইতে কমে শরীরের মেদ। ছবি: শাটারস্টক।
• জল খেলে ক্লান্তি, ঘুমঘুম ভাবের বদলে শরীরে ফিরে আসে তরতাজা ভাব। এ সময় অনেকেই সকাল-বিকেল ব্যায়াম করেন, ব্যায়ামের আগে ও পরে জল খেলে শরীর বাড়তি শক্তি পায়।
• শরীরে মাত্র ১-৩ শতাংশ জল কমে গেলেই মেজাজ খারাপ হয়, শক্তি কমে, টান পড়ে স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতাতেও।
• দিনভর জলের বদলে কোলা, কফি খেয়ে কাটিয়ে দিলে অনেক সময় সন্ধের পর মাথা যন্ত্রণা, ঝিম ধরা ভাব শুরু হয়। তার মূলেও রয়েছে হালকা জলশূণ্যতা। পর পর কয়েক গ্লাস জল খেয়ে নিলেই মিটে যায় এই সমস্যা।
• কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হঠাৎ মিটে গেলে বুঝবেন এর মূলেও আছে জলের অবদান। কারণ কম জল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। দিনে কয়েক গ্লাস জল বেশি খেলেই এই সমস্যার হাত থেকে মূক্তি পাওয়া যায়।
• ওজন নিয়ে চিন্তিত? জলের দাওয়াইতে তাও কমে যাবে। কী ভাবে? আমরা অনেকেই জানি না, শরীরে জল কমে গেলেও অনেক সময় খিদে পায়। তখন খাবার না খেয়ে একগ্লাস জল খেয়ে একটু অপেক্ষা করলেও চলে যায় খিদের বোধ। খাবার খাওয়ার আগে জল খেলে কম খাবারে পেট ভরে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যাঁরা খাওয়ার আগে আধ লিটার জল খান, ১২ সপ্তাহের মধ্যে ৪৪ শতাংশ ওজন বেশি কমে তাঁদের। তা ছাড়া জল কমে গেলে শরীর তার শারীরবৃত্তীয় কাজ চালানোর জন্য নুনের সঙ্গে জল মিশিয়ে তা জমিয়ে রাখে শরীর। জল বেশি পরিমাণে খেলে সেই প্রয়োজন পড়ে না, তাই শরীর ফুলেও থাকে না।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy