চুল কী করে ঘন হবে, ব্রণ কমাতে কোন মাস্ক জরুরি— এ সব নিয়ে অসংখ্য টোটকা ঘোরাফেরা করছে সমাজমাধ্যমে। কেউ বলছেন, পছন্দের শ্যাম্পুর সঙ্গে এটা মাখুন। কেউ বলছেন, ক্রিমের সঙ্গে মিশিয়ে নিন তিন উপাদান। কারও পরামর্শ— বাজারচলতি শ্যাম্পুই লাগবে না। হেঁশেলের উপকরণেই চুল হবে ঘন এবং সুন্দর।
কেশচর্চার এমনই একটি টোটকা সমাজমাধ্যমে ঘোরাফেরা করছে। শ্যাম্পু নয়, বদলে বেসন, মধু, নারকেল তেল এবং জলের মিশ্রণেই না কি পরিষ্কার থাকবে মাথার ত্বক। নরম হবে চুল। ফিরবে জেল্লা।
ইনস্টাগ্রামে এক জন এই কৌশল অনুসরণ করে বলছেন, তাঁর মাথার ত্বক খুব ভাল ভাবে পরিষ্কার হয়েছে। শুধু চুল একটু শুষ্ক হয়ে যাওয়ায় তিনি কন্ডিশনার ব্যবহার করেছেন।
সত্যিই কি বেসন, মধু, নারকেল তেলের গুণে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে ওঠে? ত্বকের চিকিৎসক করুণা মালহোত্র বলছেন, ‘‘এমনিতে তিনটি উপাদানই চুলের জন্য ভাল, তবে চুলের ধরন অনুযায়ী নির্ভর করবে, কতটা উপকার হবে বা হবে না।’’
বেসন ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। মাথার ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল, ময়লা পরিষ্কার করতে প্রাকৃতিক ক্লিনজ়ার হিসাবে এটি ব্যবহার করা যায়। মধু চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। বিশেষত, রুক্ষ চুলের জন্য মধু উপযোগী। নারকেল তেল চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল এবং মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:
তবে করুণা মনে করাচ্ছেন, একই ফর্মুলা সকলের জন্য উপযোগী না-ও হতে পারে। মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে মধু এবং নারকেলের যুগ্ম ব্যবহার উপযোগী না-ও হতে পারে। নারকেলের তেলের পরিমাণ বেশি হলে মাথার ত্বকে তার প্রভাব পড়তে পারে।
আবার বেসন ক্লিনজ়ারের কাজ করলেও তা ত্বক রুক্ষ করে দেয়। ফলে যাঁর ত্বক এবং চুল রুক্ষ, তাঁর ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। বেসন ব্যবহার করলে সে ক্ষেত্রে তেলের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। আবার তৈলাক্ত চুল হলে তেলের পরিমাণ কম হবে। এই উপকরণগুলি ব্যবহার করলেও, চুলের ধরন বুঝে তার পরিমাপ ঠিক না করলে সমস্যা হতে পারে।