মার্জারাসন। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
কী
মার্জারাসন
সংস্কৃতে মার্জার শব্দের অর্থ বিড়াল। মার্জারাসন অনেকটা বিড়াল ও উটের মতো ভঙ্গিমা। এই আসনটি অভ্যাস করলে ওপরের দিকে বিড়ালের মতো ও নীচের দিকে উটের কুঁজের মতো পিঠ ওপরে ও নীচে দু’দিকেই প্রসারিত হয়। দীর্ঘ সময় এক ভাবে বসে থাকলে কিংবা ভুল ভঙ্গিমার কারণে পিঠের ব্যথায় কষ্ট পেতে হয়। নিয়মিত মার্জার আসন অভ্যাস করলে পিঠের বেশির ভাগ সমস্যা চলে যায়।
কী ভাবে করব
· ম্যাটের ওপর হাঁটু গেড়ে বসুন। দুই হাতের তালু মাটিতে ঠেকিয়ে রাখুন কাঁধের সোজাসুজি। দুই হাঁটুর দূরত্ব থাকুক কাঁধের দূরত্বে, অথবা আরামদায়ক ভাবে। দুই ঊরু ও হাত যেন সমান্তরাল অবস্থায় থাকে। পিঠ থাকবে চ্যাটালো অবস্থায়, ঠিক যেন টেবিল। মাথা থাকুক শিথিল। এটা শুরুর ধাপ। এই পজিশনে স্টেডি থাকুন।
· এ বারে শ্বাস নিতে নিতে মাথা ওপরের দিকে তুলুন। এই সময় পেটের দিক কিছুটা নীচে নেমে যাবে ও পিঠ অবতল হয়ে থাকবে। বুক ওপরের দিকে থাকায় অনুভব করতে পারবেন ফুসফুস বাতাসে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থান কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখুন। এই অবস্থানে পিঠ বাঁকানো থাকবে ও গলায় টান পরবে, এই ব্যাপারটা খেয়াল রাখুন।
আরও পড়ুন: মা হতে চলেছেন? করোনা ঠেকাতে এখন থেকেই মেনে চলুন এ সব
· এ বারে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পিঠ উটের কুঁজের মতো উঁচু করুন। চোখ থাকুক নাভির দিকে। উঁচু পিঠ ও গলার টান পড়ছে এই অবস্থার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কয়েক সেকেন্ড এই অবস্থানে থাকুন। ফুসফুস থেকে সম্পূর্ণ বাতাস বেরনোর সময় পেট ভেতরের দিকে টেনে নিতে হবে। এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হল। এই ভাবে ৭–১০ রাউন্ড অভ্যাস করতে হবে।
· অভ্যাস করার সময় শ্বাস ও শরীরের গতি যেন ধীর স্থির হয় এবং শিরদাঁড়ার স্ট্রেচিং সঠিক থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখবেন।
মনে রাখবেন গর্ভাবস্থায় এই আসন করবেন না।
কেন করব
এই আসনটিতে সম্পূর্ণ শিরদাঁড়া ওপর নীচ দু’দিকেই সঞ্চালন হয়। মার্জারাসন সতর্কতার সঙ্গে অভ্যেস করলে মেরুদণ্ডের সঙ্গে আটকে থাকা সায়টিকা নার্ভ উজ্জীবিত হয় বলে ব্যথা কমে। পেটের পেশির স্ট্রেচিং হওয়ার পাশাপাশি নিতম্ব ও পায়ের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। যে সব মহিলাদের ঋতুচক্রের সমস্যা আছে ও এই সময়টায় ক্র্যাম্প হওয়ার জন্যে ব্যথায় কষ্ট পান, তাঁদের কষ্ট কমাতে এই আসনটি অত্যন্ত উপযোগী।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy