বাড়ির পুরনো আসবাবপত্রে জমা ধুলোবালি থেকেও হতে পারে নানা ধরনের সংক্রমণ। ছবি শাটারস্টকের সৌজন্যে।
সংক্রমণ এড়াতে লকডাউনের সময় বাড়ি ও নিজেদের পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে আমরা আগের চেয়ে বেশি সতর্ক হয়েছি। কিন্তু বাড়ির যে সব পুরনো ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র আর আমরা ব্যবহার করি না, সেগুলিকে নিয়মিত ভাবে পরিচ্ছন্ন রাখার দিকে কি আমরা নজর দিচ্ছি ততটা? বাড়ির যে ঘরে আমরা পুরনো খাতা, বই, ইস্ত্রি, টেলিভিশন সেট, পুরনো ক্যাসেট, সিডি, রেকর্ড প্লেয়ার, ডিভিডি প্লেয়ার-সহ বিভিন্ন ধাতব জিনিসপত্র পুরে দিনের পর দিন সেই ঘরটাকে তালাবন্দি করে রাখি, সেই ঘর আর তার ভিতরের জিনিসপত্রের দিকে কি আমরা তাকিয়ে দেখছি?
চিকিৎসকেরা বলছেন, বাড়ির যাবতীয় পুরনো জিনিসপত্রই এখন পারলে বর্জন করা উচিত। সেটা না সম্ভব হলে, নিয়মিত ভাবে সেই সব পুরনো জিনিসপত্র আর সেগুলি যে ঘরে দীর্ঘ দিন তালাবন্দি করে রাখা আছে, এখন সেই সবই খুব ভাল ভাবে পরিষ্কার করা উচিত। না হলে, অনেক দিনের অব্যবহৃত ওই জিনিসগুলির উপর যে প্রচুর পরিমাণে ধুলোবালি জমেছে, তার থেকেও সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়তে পারে বাড়ির লোকজনের।
চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস জানাচ্ছেন, পুরনো, অনেক দিন ধরে অব্যবহৃত জিনিসপত্রের দিকে আমাদের তেমন নজর পড়ে না বলে সেগুলিতে খুব ধুলোবালি জমে। ফলে সেখানে সহজে আস্তানা গাড়তে পারে নানা ধরনের ব্যাক্টিরিয়া, ভাইরাস। এমনকী, ছত্রাকও। সেগুলি ধাতব হলে তো তা আরও বেশি ক্ষতিকারক। পুরনো লোহার জিনিসপত্রে মরচে পড়ে। পুরনো বই, খাতায় ছত্রাক জন্মায়। যাদের অনেকগুলিই বাড়ির লোকজনের সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে এ ভাবে সামলান ঘর ও অফিসের কাজ, হাতে পাবেন বাড়তি সময়
আরও পড়ুন: সংক্রমণ রুখতে জুতো, চটি কী ভাবে পরিচ্ছন্ন রাখবেন
বাড়ির সব পুরনো জিনিসপত্রে জমা ধুলোবালি থেকে হতে পারে নানা ধরনের সংক্রমণ। ছবি- শাটারস্টকের সৌজন্যে।
কোভিড-১৯ এর জন্য এখন যে পরিস্থিতি, তাতে যে কোনও সংক্রমণই বিপজ্জনক। কারণ, তা আমাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়। ‘‘তাই এখন এমন সব জিনিস পারলে বর্জন করাই ভাল। না পারলে বহু দিনের অব্যবহৃত জিনিসপত্রগুলি আবার খুব ভাল ভাবে ঝাড়া-পোঁছা করে রাখা দরকার’’, বলছেন অরিন্দম।
মোদ্দা কথা, এখন সংক্রমণ এড়ানোর জন্য বাড়িতে কোনও ভাবেই ধুলোবালি জমতে দেওয়া উচিত হবে না। পুরনো অব্যবহৃত জিনিসপত্রে ধুলোবালি জমে বেশি। তাই সেগুলিকে পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন, জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy