—প্রতীকী ছবি।
আধুনিক নগর জীবনের গতিবেগ যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে একাকিত্ব। চারপাশে অনেক লোকজন, ফেসবুকে ৫০০ জনের উপরে বন্ধু— তবু মনের কথা ভাগ করে নেওয়ার জন্য কেউ নেই, সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার কেউ নেই, নিরিবিলিতে কারও সঙ্গে সময় কাটানোর কেউ নেই— এমন সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। চিনের বেজিং প্রদেশের এক তরুণী এমন পেশা বেছে নিয়েছেন, যা লোকের একাকিত্ব ঘোচাবে। ২৬ বছর বয়সি পেগ্গি অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে সময় কাটান। বদলে তিনি টাকাও নেন। এটাই তাঁর পেশা। তরুণী মূলত টাকার বদলে অপরিচিত ব্যক্তিদের একাকিত্ব দূর করেন। একা হলে লোকেরা যে সব কাজ করতে পারেন না, পেগ্গি তাঁদের সেই সব কাজে সঙ্গ দেন।
মে মাসে তিন জন পেগ্গির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁদের কেউ পর্বতারোহণের জন্য সঙ্গীর খোঁজ করছিলেন, কেউ আবার শপিং মলে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের গেম্স খেলার জন্য সঙ্গীর খোঁজে ছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে পেগ্গি বলেন, ‘‘আমার গ্রাহকরা বড় একা। ওদের কাজে আসতে পেরে আমি খুশি। ওরা অন্য কাউকে নিজের মনের কথা খুলে বলতে না পারলেও আমার ক্ষেত্রে সেই সমস্যা হয় না। আমি চাকরি করতাম, তবে সেই কাজে আমার মন বসত না। এই কাজ করে আমি খুশি। আমি অনলাইনেও লোকেদের সঙ্গে সময় কাটাই, তবে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে।’’ পেগ্গির সঙ্গে সময় কাটাতে চাইলে সমাজমাধ্যমেই যোগাযোগ করতে হবে। অনলাইনেই পেগ্গি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
সমাজমাধ্যমে পেগ্গির এই সাক্ষাৎকার ভাইরাল হতেই চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলেছেন, ‘‘পেগ্গি ভাল কাজ করছেন। অপরকে ভাল রেখে নিজে যদি রোজগার করেন, তাতে ভুল কিছুই নেই।’’ তবে অনেকেই আবার বলেছেন, ‘‘এতই অপরের ভাল করার ইচ্ছে থাকলে পেগ্গির সমাজসেবা করা উচিত ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy