Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

ভিন্ন লয়ে হেঁটে ঝরান ক্যালরি

ব্যস্ত দিনযাপনে ক্রমশ স্থুলকায় হচ্ছেন। প্রতিদিন জিমে গিয়ে ট্রেড মিলে হাঁটাহাঁটি বা দৌড়াদৌড়িও করেন কয়েক পাক। কোন দিনও এই রুটিনের অন্যথা হয় না। তবু কেন ঝরছে না মেদ? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে নাজেহাল দশা। চিন্তা ছাড়ুন। বরঞ্চ হাঁটার লয় পাল্টান।

ছবি: এএফপি।

ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৫ ২০:০৬
Share: Save:

ব্যস্ত দিনযাপনে ক্রমশ স্থুলকায় হচ্ছেন। প্রতিদিন জিমে গিয়ে ট্রেড মিলে হাঁটাহাঁটি বা দৌড়াদৌড়িও করেন কয়েক পাক। কোন দিনও এই রুটিনের অন্যথা হয় না। তবু কেন ঝরছে না মেদ? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে নাজেহাল দশা। চিন্তা ছাড়ুন। বরঞ্চ হাঁটার লয় পাল্টান। কেন না হাঁটার লয়ের হেরফের ঘটালেই ক্যালরি ঝরবে আর কমবে মেদ। এমনটাই দাবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ভারতীয় বংশদ্ভূত গবেষক মনোজ শ্রীনিবাসন এবং নিধি সীতাপতির।

প্রথাগত ধারণা হল শুধুমাত্র ট্রেডমিলে দৌড়লেই বোধহয় শক্তি ক্ষয় হয় আর স্বাভাবিক গতিতে প্রত্যেক দিনের হাঁটাকে অনেকেই নজর এড়িয়ে যান। গবেষকরা জানিয়েছেন, স্বাভাবিক ভাবে হেঁটেও গতির হেরফের ঘটিয়েই ক্ষয় করানো যাবে শক্তি।

কী ভাবে সিদ্ধান্তে এলেন দুই গবেষক?

ট্রেডমিলে কয়েক জনের হাঁটার উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান তাঁরা। ট্রেডমিলের গতি এক রেখেই শুধুমাত্র হাঁটার লয়ের হেরফের ঘটানো হয়। তাতে দেখা যায়, ট্রেডমিলের সামনের দিকে হাঁটতে জোরে হাঁটছেন ট্রেডমিল ব্যবহারকারী। নীচের অংশে হাঁটতে হাঁটার গতি কমিয়ে দিচ্ছেন ব্যবহারকারী। কেন না, স্বাভাবিক ভাবে এক জন মানুষ কাছের কোনও জায়গায় যেতে আস্তে আস্তে হাঁটেন। আবার দূরের কোনও জায়গায় যেতে সেই ব্যক্তিই আবার জোরে হেঁটে যান।

কিন্তু কী ভাবে স্বাভাবিক ভাবে হেঁটেও ঝরে যাবে ক্যালরি?

গবেষকরা কিছু সহজ উপায়ের হদিশ দিয়েছেন—

স্বাভাবিক গতিতে হেঁটেও হাঁটার সময় কিছু অস্বাভাবিক উপায় অবলম্বন করুন। পিঠে ব্যাকপ্যাক নিয়ে হাঁটুন। হাঁটার সময় পায়ের উপর ওজন নিয়ে হাঁটুন। কিছু ক্ষণ হাঁটুন তার পর থামুন। তার পর আবার হাঁটুন। সোজা লাইন বরাবর না হেঁটে একেঁবেঁকে হাঁটুন। এক বার গবেষকদের কথা মত বিভিন্ন লয় হেঁটেই দেখুন না। কমতে পারে আপনার মেদ।

অন্য বিষয়গুলি:

walk change pace burn calories
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE