অভিনেত্রী ম্রুণাল ঠাকুর। —ফাইল চিত্র।
ব্যক্তিগত জীবন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুললেন অভিনেত্রী ম্রুণাল ঠাকুর। প্রকাশ্যে জানালেন, ভবিষ্যতে সন্তানধারণ নিয়ে তাঁর কী পরিকল্পনা, রাখঢাক না করেই তা-ও জানিয়ে দিলেন অভিনেত্রী। সন্তানধারণের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করায় তিনি উত্তরে বলেন, ‘‘অভিনেত্রী মোনা সিংহের মতো আমিও ডিম্বাণু সংরক্ষণের কথা ভাবছি।’’
বলিপাড়ায় অবশ্য ডিম্বাণু সংরক্ষণের ‘ট্রেন্ড’ নতুন নয়। এর আগে বলি অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়াও ডিম্বাণু সংরক্ষণ করিয়েছিলেন মাত্র ৩০ বছর বয়সে। ২০২২ সালে মা-ও হয়েছেন তিনি।
অনেক মহিলাই আছেন, যাঁরা মা হতে চান, তবে এখনই নয়। ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাই ডিম্বাণু সংরক্ষণ করার আগ্রহ বেড়েছে তাঁদের মধ্যে। তালিকায় তারকারা তো আছেনই, পিছিয়ে নেই সাধারণ মানুষও। বয়সবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের শরীরে ডিম্বাণুর সংখ্যা ও মান কমতে থাকে। মা হওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতাও তৈরি হয় অনেক ক্ষেত্রে। অল্প বয়সে ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রাখলে, বেশি বয়সেও মা হওয়া সম্ভব। আর সেই কারণেই এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ডিম্বাণু সংরক্ষণের পদ্ধতি। ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়স ডিম্বাণু সংরক্ষণের জন্য আদর্শ। মোটামুটি ১০ থেকে ১২ বছর ডিম্বাণু সংরক্ষণ করা যায়। ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে ডিম্বাণু ব্যবহার করে নিলেই সন্তাণধারণের সম্ভাবনা বেশি।
কী ভাবে সংরক্ষণ করা হয়?
প্রথমে ইঞ্জেকশন দিয়ে শরীরে ডিম্বাণুর পরিমাণ বাড়ানো হয়। ইঞ্জেকশন প্রয়োগের কিছুদিন পর ‘ট্র্যান্স ভ্যাজাইনাল উসাইট রিট্রিভাল’ পদ্ধতিতে শরীর থেকে ডিম্বাণু বার করা হয়। এই পদ্ধতির সাহায্যে সর্বোচ্চ ১৫টি এবং সর্বনিম্ন ৫টি ডিম্বাণু নিষিক্ত করা সম্ভব। ডিম্বাণুগুলিকে তরল নাইট্রোজেনে -১৯৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়। তার আগে ডিম্বাণুর মধ্যে যে জলের পরিমাণ থাকে, তা বার করে নেওয়া হয়। নয়তো জমাট বেঁধে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তখন ডিম্বাণুর আকার এবং গুণগত মান কমতে থাকে। ডিম্বাণু ভাল রাখতে ‘ডিএমএসও’ নামক এক ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। গোটা পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ হতে সময় লাগে ১৫-২০ দিন। এর থেকে বেশি সময়ও লাগতে পারে।
কলকাতায় কি ডিম্বাণু সংরক্ষণ করা হয়?
এখন কলকাতাতেও এই সুবিধা রয়েছে মহিলাদের জন্য। তপসিয়ার অ্যাপোলো ফার্টিলিটি ক্লিনিক, পার্ক স্ট্রিট এলাকার ইন্দিরা আইভিএফ সেন্টার, ফুলবাগান এবং এলগিন রোড এলাকার নোভা আইভিএফ ফার্টিলিটি সেন্টারে ডিম্বাণু সংরক্ষণ করা হয়। তবে এই পদ্ধতি বেশ খরচসাপেক্ষ। মোটামুটি দেড় লক্ষ টাকা খরচ পড়ে এই পদ্ধতিতে। তবে হাসপাতাল অনুযায়ী খরচ বাড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy