পুজোর পেটপুজো নিয়ে আড্ডায় ঋতাভরী। ছবি: সংগৃহীত।
দুর্গাপুজো আর খাওয়াদাওয়া, এই দুই শব্দ যেন একে অপরের সঙ্গ ছাড়তে চায় না। দুর্গাপুজোর ক’দিন পেটপুজো করতে বাঙালি ওস্তাদ। তবে সারা বছর স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ষষ্ঠী থেকে দশমীর ডায়েটে বদল আসে? আর পাঁচজনের মতো তাঁরাও কি দুর্গাপুজোয় ভূরিভোজ করেন? কী মত অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর? পুজোর সময়ে মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি ‘বহুরূপী’। ছবিমুক্তির আগে প্রচারকাজে নায়িকার ব্যস্তস্তা তুঙ্গে। তারই মাঝে পুজোর পেটপুজো নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে আড্ডায় বসলেন ঋতাভরী।
পুজোর গান এ বার বড় কঠিন সুরে বাজছে। উৎসবের আলোর রোশনাই এ বছর বড্ড ম্লান। তবুও মা এক বছর পর বাড়ি ফিরছেন, তাই মনে দুঃখ নিয়ে নয়, আনন্দ সহকারেই মাকে বরণ করে নিতে চান ঋতাভরী। ঋতাভরী বলেন, ‘‘অন্যান্য অভিনেত্রীর মতো আমি সারা বছর কড়া ডায়েটের মধ্যে থাকি না। আমি এক জন ভোজনরসিক খাঁটি বাঙালি। তাই পুজোর সময়ে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া করা প্রতি বছরই আমার পুজোর পরিকল্পনায় থাকে। এ বারও কিন্তু তেমনটাই করব। পুজোর সময় নামীদামি রেস্তরাঁর খাবার নয়, রাস্তার ধারের রোল-চাউমিন আর ফ্রায়েড রাইসের দিকেই আমার বেশি নজর থাকে। সারা বছর রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে খুব বেশি ফুচকা খাওয়ার অবকাশ হয় না। তবে পুজোর ক’দিন আমাকে ফুচকা খেতেই হবে।’’
রাত জেগে ঠাকুর দেখতে ভালবাসেন ঋতাভরী। নায়িকা বলেন, ‘‘পুজোর সময়ে রাত ১টা, দেড়টা নাগাদ গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ি প্রতি বার। গড়িয়াহাট অঞ্চলের সিংহীপার্ক, একডালিয়া, ত্রিধারার পুজো দেখার পর ওই অঞ্চলে কোথাও একটা গাড়ি থামিয়ে ফুচকা আমাকে খেতেই হবে। পুজোর সময় সল্টলেক চত্বরেও ঠাকুর দেখতে যাই। প্রতি বছর সল্টলেকের এ ই ব্লকের পুজো প্যান্ডেলের সামনে যে মেলাটা বসে, সেখান থেকে হজমিগুলি কেনাটা মাস্ট! আলাদা করে মেলায় যাওয়ার সুযোগ গয় না। তাই পুজোমণ্ডপের বাইরে বিভিন্ন মেলাগুলিতে ঢুঁ মারতে বেশ ভালই লাগে। মেলার ধারে যে রোল-চাউমিনের দোকানগুলি বসে, সেখানকার বড় চাটুগুলির উপর খুন্তি দিয়ে করা টংটং শব্দ আমায় বেশ আকর্ষণ করে। সেই শব্দ শুনে যেন খাওয়ার ইচ্ছেটা আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। যে আমি মিষ্টি খেতে খুব বেশি পছন্দ করি না, পুজোর সময়ে কিন্তু মিষ্টি খাওয়াও ছাড়ি না। পুজোর সঙ্গে ভূরিভোজটাও সমান ভাবে উপভোগ করতে ভালবাসি আমি।’’
পুজোয় একটা দিন পরিবারের সঙ্গে খাওয়াদাওয়ার পরিকল্পনা থাকে ঋতাভরীর। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘পুজোয় একটা দিন পরিবারকে দিতেই হয়। অনেক বড় পরিবার আমার। কোনও বছর তাঁদের সবাইকে নিয়ে কোনও বিলাসবহুল রেস্তরাঁয় খেতে যাই। কোনও বার আবার বাড়িতেই ক্যাটারিং সার্ভিসকে দিয়ে ভূরিভোজের আয়োজন করাই। সবাই মিলে খাওয়াদাওয়া করার মজাটাই তো আলাদা। সারা বছর এই দিনটির অপেক্ষায় থাকি।’’
পরিবারের জন্য পুজোয় কি রান্না করা হয়? প্রশ্ন শুনতেই একগাল হাসি ঋতাভরীর মুখে। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘রান্নার ব্যাপারে আমি আমার মায়ের স্বভাব পেয়েছি। মা আর আমি একেবারেই রান্না করতে ভালবাসি না। কখনও-সখনও দায়ে পড়ে রান্না করতে হয়, তখন করি। যেমন কোভিডের সময়ে করেছি। বিদেশে গিয়ে বাঙালি বন্ধুদের জন্য বাঙালি রান্না রেঁধেছি অনেক বার। তবে বাড়িতে আর আলাদা করে রান্না করা হয় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy