প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে একটু ঘি থাকলে আর চিন্তা নেই। কোনও কিছু রান্না না হলেও এক থালা ভাত খেয়ে নেওয়া যাবে। সঙ্গে নুন, কাঁচালঙ্কা আর আলুভাতে হলে তো কথাই নেই। এটা আম বাঙালির মনের কথা। শুধু বড়রাই নয়, ছোটদেরও নিয়মিত ঘি-ভাত খাওয়ানো হয়। আর সেটা মুখেভাতের দিন থেকেই। এই ঘিয়ের বেশির ভাগই কেনা হয় বাজার থেকে। কারণ, খুব কম বাড়িতেই ঘি বানানো হয়।
কিন্তু বাজার থেকে কেনা ঘি সব সময় খাঁটি হয় না। লেবেল-এ ‘খাঁটি’ শব্দটা বড় করে লেখে সবাই। কিন্তু তার পরেও যে ভেজাল থাকে, তার প্রমাণ অতীতে অনেক বার দেখা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও প্রশাসন বিভিন্ন সময় বাজার থেকে ভেজাল ঘি বাজেয়াপ্ত করেছে। ভেজাল ঘিয়ের কারখানায় হানা দিয়েছে।
মনে রাখবেন, বাজারের ঘি বলে যেগুলি বিক্রি হয়, তার অনেকগুলিতেই প্রচুর পরিমাণে সাধারণ বনস্পতি (ডালডা) ও পাম তেল থাকে। গন্ধের জন্য কিছুটা ঘি মেশানো হয়। সঙ্গে থাকে রং। মোষের দুধের ঘিয়ে রং দিয়েই বানিয়ে ফেলা হয় গাওয়া (গরুর দুধের) ঘি। অনেক সময় ভেজালের পরিমাণ এমনও হয় যেখানে এক কেজির মধ্যে ৬০০ গ্রাম ডালডা আর ৩০০ গ্রাম পাম তেল থাকে। বাকি মাত্র ১০০ গ্রাম খাঁটি ঘি। এর সঙ্গে অনেক সময়ে এমন রং ব্যবহার করা হয় যা আদৌ ভোজ্য নয়। ঘিয়ের মধ্যে দানা তৈরি করার জন্যও নানা কিছু মেশানো হয়।
খাঁটি ঘি চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হল হাতের তালুতে কিছুটা পরিমাণ রাখা। শরীরের তাপে গলে গেলে বুঝতে হবে বিশুদ্ধ ঘি। উনুনে রেখেও গলাতে পারেন। সেই সময়ে যদি দেখেন ঘি গলতে সময় নিচ্ছে এবং হলুদ রং হয়ে যাচ্ছে তবে তা খাঁটি নয় মোটেও। আরও একটি সহজ পদ্ধতি রয়েছে। কোনও পাত্রে গরম জল করে তার মধ্যে ঘিয়ের শিশি বসিয়ে দিন। ভিতরের ঘি গলে যাবে। এর পরে ফ্রিজে রেখে দিন। যদি দেখেন গোটা শিশিতে একই রঙের জমাট বাধা ঘি তবে সেটা খাঁটি। কিন্তু ভেজাল থাকলে আলাদা আলাদা তেলের আলাদা আলাদা স্তর থাকবে।
ভেজাল ঘি এড়িয়ে যেতে বাড়িতে তৈরি করে নেওয়াই ভাল। তবে একান্ত না পারলে সতর্ক হয়ে কেনা উচিত। সব সময় ভাল সংস্থার ঘি কেনাই ঠিক। সেটাও পরীক্ষা করে নেওয়া ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy