গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
দুর্গাপুজো আর পেটপুজো প্রায় সমার্থক!
সারা বছর জিমে গিয়ে গা ঘামালেও পুজোর ক’দিন কেউই কোনও নিয়ম মানেন না। বাঙালি, চিনা, মোগলাই খাবারের রমরমা আগেও ছিল। এখন তার সঙ্গে যোগ হয়েছে জাপানি, কোরিয়ান খাবারও। এমনিতে ছুটির দিন কিংবা রবিবার সকালের জলখাবারে প্রায়শই লুচি, সাদা আলুর চচ্চড়ি খাওয়া হয়। তবে পুজো এলে বাঙালির লুচি-প্রেম যেন আরও গদগদ হয়ে ওঠে। সেই প্রেম কিন্তু বয়সের বাধা মানে না। আনন্দবাজার অনলাইনের আগমনী আড্ডার ‘পুজোর পেটপুজো’ পর্বে অতিথি আসনে ছিলেন অভিনেত্রী তনিমা সেন, সন্দীপ্তা সেন, সাহেব ভট্টাচার্য এবং সুস্মিতা দে। যোগ দিয়েছিলেন আরও এক খাদ্যরসিক ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ীও।
আড্ডা দিতে দিতে কখনও উঠে এল রকমারি খাবারের কথা। আবার, রেঁধেবেড়ে খাওয়ানোর কথাও উঠে এল নানা গল্পে। তবে, লুচির বিষয়ে সকলেই সহমত। অভিনেত্রী তনিমা সেন খেতে এবং খাওয়াতে ভালবাসেন। ডায়াবিটিসের চোখরাঙানিকে তোয়াক্কা না করেই ওষুধ এবং পছন্দের খাবার একসঙ্গেই খেয়ে চলেন তিনি। পুজোয় কী কী খাওয়া হবে, তার মহড়া দেন মাসখানেক আগে থেকে। লুচি দিয়েও নাকি বাঙাল-ঘটি চেনা যায়। তনিমা জানালেন, “লুচির সঙ্গে সাদা আলুর চচ্চড়িটা এ দেশীয়দের বিশেষত্ব।”
অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেনের পুজোর সকাল শুরু হয় লুচি দিয়ে। কোনও দিন থাকে লুচি-আলু চচ্চড়ি, কোনও দিন লুচি-আলুর দম কিংবা ছোলার ডাল। দুপুরে বাঙালি খাবার চাই-ই চাই। কিন্তু পুজোর মেনু থেকে মুরগির মাংস একেবারে বাদ। খাসির মাংস, চিংড়ি মাছ থাকবেই।
খাদ্যরসিক ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ির প্রথম প্রেম লুচি। জীবনে আর কিছু থাক না থাক, লুচি থাকতেই হবে। সঙ্গে যদিও দ্বিতীয় প্রেম, মানে বিরিয়ানির হাতছানিও আছে। তাঁর মতে “পুজোর ক’দিন জলখাবারে লুচি আর দুপুরে পোলাও বা বিরিয়ানি থাকা চাই।”
এই মুহূর্তে টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি সাহেব ভট্টাচার্য এবং সুস্মিতা দে। অভিনেতাদের খাওয়াদাওয়া নিয়ে সব সময়েই একটা বিধিনিষেধ থাকে। চাইলেই যখন যা খুশি খেয়ে ফেলতে পারেন না তাঁরা। নিজের শরীর বুঝেই খাওয়াদাওয়া করেন অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য। তবে সারা বছর ধরে কঠোর নিয়ম মেনে চলেন, তেমনটাও নয়। পুজোর একটা দিন মায়ের হাতে বাসন্তী পোলাও এবং কষা মাংস মাস্ট। সাহেব বলেন, “মন ভাল থাকলে শরীর স্বাভাবিক ভাবেই ভাল থাকবে। তাই পছন্দের খাবার বাদ না দিয়ে শরীরচর্চা করলেই হয়। সমতা বজায় রাখা খুব জরুরি।”
শুটিং ফ্লোরে হামেশাই সাহেব রান্না করে সহকর্মীদের নানা রকম খাবার খাওয়ান। সে ‘কথা’ ফাঁস করলেন অভিনেত্রী সুস্মিতা দে। তিনি যে খুব খাদ্যরসিক, তেমন নয়। তবে খাবারের বিষয়ে তাঁর না নেই। তা সে লুচি-আলুর দম হোক বা খিচুড়ি। সুস্মিতা বলেন, “খাওয়া নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করা একেবারেই পছন্দ নয়। বাঙালি থেকে বিরিয়ানি— সবই চলে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy