গায়ে মাখার লোশন মুখে মাখলে কী হবে? ছবি: সংগৃহীত।
উত্তুরে হাওয়ার শিরশিরানি ভালই টের পাওয়া যাচ্ছে। চামড়াতেও বেশ টান ধরছে। তাই স্নান করার পর গায়ে ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে নেন। তাড়াহুড়োর চোটে বেশির ভাগ দিনই অনেকটা লোশন হাতে নিয়ে ফেলেন। অতিরিক্ত ওই লোশনটিই মুখে মেখে নেন।
আলাদা করে মুখে ক্রিম মাখার প্রয়োজন পড়ে না। আবার, খানিকটা সাশ্রয়ও হয়। আপাত ভাবে দেখলে এই লোশন এবং ক্রিমের মধ্যে তো ঘনত্ব ছাড়া আর বিশেষ কোনও ফারাক থাকার কথা নয়। কাজের দিক থেকেও দু’টির মধ্যে কোনও তফাত নেই। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে দু’টিই একই রকম ভাবে কাজ করে। তবে ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, মুখ এবং দেহের ত্বকের ধরন তো এক রকম নয়। তা ছাড়া সমস্যাগুলোও আলাদা।
মুখের ত্বক দেহের তুলনায় অনেক বেশি স্পর্শকাতর এবং পাতলা। বডি লোশনের মধ্যে থাকে খনিজ তেল, শিয়া বাটার, নারকেল তেলের মতো উপাদান। কোনও কোনও বডি লোশনে কৃত্রিম সুগন্ধি, অ্যালকোহলও থাকে। এই সমস্ত উপাদান কিছু ক্ষেত্রে হাত-পা, দেহের অন্যান্য অংশের জন্য ভাল হলেও মুখের পক্ষে ক্ষতিকর। কারও মুখের ত্বক যদি স্পর্শকাতর হয় তা হলে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
তা ছাড়া দেহ আর মুখের ত্বকের পিএইচের সমতাও আলাদা। সেই অনুযায়ী বডি লোশন আর ক্রিমের পিএইচ-ও এক হওয়ার কথা নয়। দেহের ত্বকে মুখের তুলনায় অম্লত্বের পরিমাণ কম। তাই মুখে মাখার প্রসাধনী গায়ে মাখলে যেমন কাজ হবে না, তেমন গায়ে মাখার লোশন মুখে মাখলেও সমস্যা হবে।
মুখে বডি লোশন মাখলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
১) বডি লোশনে যে হেতু অ্যালকোহল থাকে, তাই স্পর্শকাতর মুখে তা মাখলে প্রদাহজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। চোখ, নাক সংলগ্ন অঞ্চল লাল হয়ে যেতে পারে।
২) মুখে বডি লোশন মাখলে ব্রণের বাড়বাড়ন্ত দেখা দিতে পারে। যে হেতু এই প্রসাধনীতে খনিজ তেল, ফ্যাটি উপাদানের পরিমাণ বেশি। তাই তা সহজে মুখের ছোট ছোট ছিদ্র বা পোর্স বন্ধ করে দেয়।
৩) খুব বেশি ঘনত্ব-যুক্ত প্রসাধনী মাখলে মুখে জ্বালা বা পিন ফোটার মতো অস্বস্তি হতে পারে। স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য এই অভ্যাস আরও ক্ষতিকর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy