রূপচর্চায় বহু দিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে অ্যালো ভেরা। ছবি: সংগৃহীত
ত্বকের যত্নে কিংবা চুলের দেখাশোনা— অ্যালো ভেরার ছোঁয়ায় সেই যত্ন যেন আলাদা মাত্রা পায়। অ্যালো ভেরার উপকারিতা নিয়ে আলাদা করে এখন আর বলার প্রয়োজন পড়ে না। রূপচর্চায় বহু দিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে অ্যালো ভেরা। এ ছাড়া অ্যালো ভেরায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো উপাদান। যা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে দারুণ কাজ করে। শীতে এমনিতে ত্বকের অবস্থা কাহিল হয়ে যায়। অত্যধিক মাত্রায় রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে পড়ে ত্বক। তার উপর দূষণ তো রয়েছেই। ধুলো, বালি, ধোয়াঁয় ত্বকের একেবারে দফারফা অবস্থা। এই অবস্থায় ত্বকের হাল ফেরাতে ভরসা রাখতে পারেন অ্যালো ভেরার উপর।
অনেকেরই রোজের রূপরুটিনে অ্যালো ভেরা থাকে। বিশেষ করে রাতে ঘুমোনোর আগে অ্যালো ভেরা মাখার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। ত্বকের মসৃণতা আনা থেকে শুরু করে ব্রণ কমানো— সবেতেই অ্যালো ভেরার জুড়ি মেলা ভার। অ্যালো ভেরার গুণ বহুমুখী। অ্যালো ভেরা নির্যাস এমনিতেই ভীষণ কার্যকর। তবে অনেকেই অ্যালো ভেরা দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করেও ব্যবহার করেন। তবে অ্যালো ভেরা ব্যবহার করে বাড়তি সুফল পেতে এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন কয়েকটি উপকরণ। রইল তার হদিস।
১) অনেকেই রাতে অ্যালো ভেরা ব্যবহার করেন। তবে শুধু অ্যালো ভেরা না মেখে এর সঙ্গে মেশাতে পারেন ভিটামিন ই অয়েল। তার পর ভাল করে ত্বকে মালিশ করে শুয়ে পড়ুন। ভিটামিন ই এমনিতেই ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। সেই সঙ্গে যদি মেশে অ্যালো ভেরা, তা হলে ত্বকে পরিবর্তন আসতে বাধ্য।
২) অ্যালো ভেরার সঙ্গে পরিমাণ মতো গোলাপ জল ভাল করে মিশিয়ে নিন। এর পর এই মিশ্রণটিকে মুখে, পিঠে, গলায় ভাল করে মেখে নিন। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে এলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন। রোজ না হলেও সপ্তাহে কয়েক দিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। ত্বকে পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy