সর্দি-কাশি হলেই বাড়ির বড়রা তুলসি পাতা খাওয়ার নিদান দেন অনেক সময়ে। তবে শুধু এটাই নয় এতে রয়েছে এমন উপাদান, যা আরও অনেক উপকারে লাগে। অনেকে বলেন, সকালবেলা খালি পেটে ৫-৬টি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেলে বা জলে ফুটিয়ে খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমতে পারে না। তবে জানেন কি, তুলসি পাতা ত্বকের জন্যও উপকারী? দোকান থেকে রাসায়নিকে ঠাসা প্রসাধনী বা ফেস-মাস্ক না কিনে বরং তুলসি পাতা দিয়েই ত্বকের পরিচর্চা করতে পারেন। কেবল কয়েকটি উপকরণ মেশাতে হবে।
তুলসি পাতায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন সি-এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের জন্য ভাল। ত্বকের প্রদাহ কমাতে পারে তুলসি পাতা। তুলসি পাতা দিয়ে বানানোর ফেসপ্যাক মাখলে ত্বকও ‘ডিটক্স’ হয়। ত্বকের রন্ধ্রে জমে থাকা ধুলো ময়লা বেরিয়ে যায়। পাশাপাশি, ত্বকে কোলাজেন তৈরিতেও বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে তুলসি।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে মুখে মাখবেন?
তুলসির সঙ্গে মধু
একমুঠো তুলসি পাতা নিয়ে ভাল করে পিষে নিন। এর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে মিহি মিশ্রণ তৈরি করুন। হালকা হাতে এই মিশ্রণ সারা মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে উষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
উপকারিতা: তুলসি-মধুর ফেসপ্যাক ত্বকের প্রদাহ কমাবে। ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা থেকে রেহাই দেবে। ত্বকে যদি র্যাশের সমস্যা থাকে বা ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে যায়, তা হলে তুলসি পাতার মাস্ক ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।
তুলসির সঙ্গে লেবু
বাজারচলতি স্ক্রাবারের চেয়ে তুলসি পাতার সঙ্গে পাতিলেবুর স্ক্রাব ত্বকের জন্য উপযোগী। এর জন্য একমুঠো তুলসি পাতা পিষে নিয়ে তার সঙ্গে আধখানা পাতিলেবুর রস ও এক চামচ চিনি মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণ আঙুলে নিয়ে ভাল করে ত্বকে মালিশ করতে হবে। ১৫ মিনিট রেখে উষ্ণ জলে ধুয়ে নিতে হবে।
উপকারিতা: তুলসি-লেবুর স্ক্রাব ত্বকের মৃতকোষ দূর করবে, ত্বকের রন্ধ্রে জমে থাকা ময়লা টেনে বার করবে। সপ্তাহে দু’দিন ব্যবহার করলে ত্বকের কালচে দাগছোপ উঠে জেল্লা ফিরবে।