(বাঁ দিকে) তৃপ্তি ডিমরি, কিয়ারা আডবাণী (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
ত্বক ভাল রাখতে আপনি হাজারও প্রসাধনী ব্যবহার করেছেন, অথচ লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না! গরমে রোদে পুড়ে ত্বকের একেবারে বেহাল দশা। সামনেই পুজো, ত্বকের পরিচর্যা না করলেই নয়। ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান কিন্তু আপনার হাতের কাছেই রয়েছে। ত্বকের নানা সমস্যায় ভরসা রাখতে পারেন কাঁচা দুধে। প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চার অন্যতম প্রধান উপকরণ হিসাবে কাঁচা দুধের জুড়ি মেলা ভার।
প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসাবে কাঁচা দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। দুধে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন থাকে, যা ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কাঁচা দুধ ভীষণ ভাল ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। এটি ত্বকের গভীরে ঢুকে আর্দ্রতা ধরে রাখে। যাঁরা শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরাও ত্বকের পরিচর্যায় দুধ ব্যবহার করতে পারেন। দুধে ল্যাকটিক অ্যাসিড ভাল মাত্রায় থাকে। এই উপাদানটি ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যায় যাঁরা প্রায়ই ভোগেন, তাঁরাও ত্বকে কাঁচা দুধ ব্যবহার করতে পারেন। সুফল পাবেন। ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনতেও ল্যাকটিক অ্যাসিড দারুণ উপকারী। এর পাশাপাশি কাঁচা দুধে বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড থাকে। এই উপাদানটি ত্বকের মৃতকোষগুলি দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকে কাঁচা দুধ মাখলে কোলাজেন উৎপাদনের হার বেড়ে যায়। ফলে নতুন কোষ গঠণ হয়। তাই কাঁচা দুধ ত্বকে বয়েসের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতেও সাহায্য করে। দুধে উপস্থিত ভিটামিন ডি ত্বককে মসৃণ ও টানটান রাখে।
পুজোর আগে রূপচর্চা করতে কী ভাবে ব্যবহার করবেন কাঁচা দুধ?
১) কাঁচা দুধের সঙ্গে হলুদ বেটে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার সপ্তাহে দু’ থেকে তিন দিন ব্যবহার করুন প্যাকটি। ত্বকের সংক্রমণ দূর করতে ও আর জেল্লা ফিরিয়ে আনতে এই প্যাকটি ভীষণ উপকারী।
২) যাঁরা শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় নাজেহাল, তাঁরা কাঁচা দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। ত্বককে আর্দ্র রাখতে ও জেল্লাদার করে তুলতে এই প্যাকটি বেশ কার্যকর। প্যাকটি ব্যবহার করার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন, তার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩) বেসনের সঙ্গে কাঁচা দুধ মিশিয়েও প্যাক তৈরি করে ফেলতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন তাঁদের জন্য এই ফেস প্যাকটি বেশ উপকারী। ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল টেনে নিতে সাহায্য করে বেসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy