ত্বকের চিটচিটে ভাব উধাও হবে নিমেষে। ছবি: সংগৃহীত।
আকাশে কালো মেঘের ভেলা, ঝিরিঝিরি বৃষ্টির সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস, গাছের পাতা থেকে টুপটাপ জলপতনের অবিরাম শব্দ— বর্ষার প্রকৃতি শুধু মুগ্ধ হওয়ার দেখার মতো। ব্যালকনি কিংবা জানলার ধারে বসে বৃষ্টি দেখার মতো বিলাসিতা আর কিসেই বা আছে! তবে বর্ষায় মন ব্যাকুল হওয়া ছাড়াও, সঙ্গী হয় ত্বকের চিটচিটে ভাব। বাতাসের অত্যধিক আর্দ্রতা এর অন্যতম বড় কারণ। আর্দ্রতার কারণে ঘাম বিশেষ হয় না। কিন্তু সারা ক্ষণই একটা অস্বস্তি ঘিরে থাকে। ক্রিম, ময়েশ্চারাইজ়ার কিংবা অন্যান্য প্রসাধনী মেখেও স্বস্তি মেলে না। বর্ষার এই চিটচিটে অস্বস্তি থেকে মুক্তির উপায় কী?
হালকা পোশাক পরুন
বর্ষাকালে ঠান্ডা ঝোড়ো হাওয়ায় অসহনীয় গরম কেটে গেলেও ঘাম হতেই থাকে। ঘামের কারণেই বেশি অস্বস্তি হয়। মোটা পোশাক পরলে এই অস্বস্তি আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই সুতির হালকা পোশাক পরুন। তাতে ত্বকে র্যাশ, ঘামাচির ঝুঁকিও কমবে। যত্ন পাবে ত্বক।
ত্বকের বাড়তি যত্ন
সারা বছর যে রুটিন মেনে রূপচর্চা করেন, বর্ষায় সেই রুটিনে বদল আনুন। বর্ষার বাতাস বেশি আর্দ্র। ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে পড়ে। ফলে এই সময়ে রূপটান প্রসাধনী ব্যবহার করলে ত্বকের ছিদ্রপথ রুদ্ধ হয়ে যায়। বাড়ে ব্রণের ঝুঁকি। ত্বকের ব্রণ অস্বস্তি দ্বিগুণ করে তুলতে পারে। তাই ব্রণ হতে দেওয়া যাবে না।
পরিষ্কার পোশাক পরা
রাস্তায় কাদা-জল বলে আলমারি থেকে নতুন পোশাক না বার করে একই জামা একটানা পরছেন? পোশাকের মায়া ত্যাগ নিজের কথা ভাবা জরুরি। ঘামে ভিজে আবার শুকিয়ে যাওয়া পোশাক এক বারের বেশি পরলেই ত্বকে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। এই মরসুমে একই পোশাক বেশি দিন পরা একেবারেই ঠিক নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy