ছবি: সংগৃহীত।
ত্বক ভাল রাখার প্রথম ধাপ হল ক্লিনজিং। অথচ ক্লান্তি আর আলস্যের কারণে অনেকেই অফিস থেকে ফিরে শুধু জলের ছিটে দিয়েই মুখ ধুয়ে নেন। শুধু জলের ব্যবহারে ত্বক ভাল রাখা সম্ভব নয়। বিশেষ করে বাইরে থেকে ফিরে ত্বক ভাল করে পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি। ত্বক দূষণমুক্ত রাখতে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কাজ হল ক্লিনজিং। ব্রণ, মেচেতা, বলিরেখার সমস্যা থেকে দূরে থাকতে চাইলে ক্লিনজিং হল রূপচর্চা অন্যতম ধাপ। বাজারে বহু নামী-দামি সংস্থার ক্লিনজার পাওয়া যায়। অনেকেই পছন্দ অনুযায়ী সেগুলি ব্যবহার করেন। তবে বাজারচলতি ক্লিনজার মানেই তাতে নানা রাসায়নিক উপাদান মেশানো থাকে। সেগুলি ত্বকের সংস্পর্শে এসে সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। তার চেয়ে ঘরোয়া কিছু ক্লিনজার রয়েছে। সেগুলি ত্বকের যত্নে ব্যবহার করলে একই রকম উপকার পাবেন।
অলিভ অয়েল
ক্লিনজার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েল এমনিতে ত্বকের জন্য খুবই ভাল। ত্বকের অনেক সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে এই তেলে। দু-তিন ফোঁটা অলিভ অয়েল নিয়ে ত্বকে ভাল করে মালিশ করে নিন। তার পর কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করুন। মিনিট দশেক পরে গরম জলে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন। ত্বকের ভিতরে জমে থাকা ময়লা চলে যাবে।
দুধ
রূপচর্চায় দুধের ব্যবহার বহু দিনের। তবে ক্লিনজার হিসাবেও যে দুধ ব্যবহার করা যায়, তা অনেকেই জানেন না। তবে শুধু দুধ মাখলে কিন্তু ডিপ ক্লিনজিং হবে না। দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো। তার পর তুলোয় মিশ্রণটি ভিজিয়ে সারা মুখে ঘষে নিন। মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করার পর ধুয়ে ফেলুন।
মধু এবং লেবুর রস
ত্বকের জেল্লা বাড়াতে মধু এবং লেবুর রসের কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে। তবে ক্লিনজার হিসাবেও কিন্তু এই দু’টির জুড়ি মেলা ভার। লেবুর রসের সঙ্গে দু’চামচ মধু মিশিয়ে সেই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে কিছু ক্ষণ রাখুন। ১০ মিনিট রাখার পর ঈষদুষ্ণ গরম জল দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। রোজ না পারলেও এক দিন অন্তর এটি ব্যবহার করতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy