অফিসের চাপে জিমে যাওয়ার সময় নেই। অফিসে একটানা ডেস্কে বসে কাজের ফলে মধ্যপ্রদেশ দিন দিন বেড়েই চলেছে, শরীরের আনাচকানাচে জমছে মেদ— এই সমস্যায় ভুগছেন অনেকেরই। ওজন বেড়ে গেলে অনেকেই হতাশায় ভুগতে শুরু করেন। আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা যায় তাঁদের মধ্যে। কড়া ডায়েট হোক কিংবা শরীরচর্চা, যে কোনও উপায়ে রোগা হতে হলে নির্দিষ্ট সময় চাই! রাতারাতি ফলের আশা না করাই ভাল। চটজলদি ফলের আশায় অনেকে সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করেন। এতে হিতে বিপরীত হয়। পোশাকের উপরেও নির্ভর করে আপনাকে মোটা দেখাবে কি না! কেমন পোশাক পরলে রোগা দেখতে লাগবে, রইল তার হদিস।

১) গাঢ় রঙের পোশাক পরলে রোগা লাগে দেখতে। তাই বাজারে গেলে এ বার থেকে কালো, নীল, মেরুন, বটল গ্রিন রঙের পোশাকগুলি বাছাই করবেন। সাদা, ঘিয়ে, ধূসর রঙের শার্ট কিংবা টিশার্ট এড়িয়ে চলুন। রোগা দেখানোর সহজ এই টোটকা কিন্তু বেশ কাজে আসে। গরমের দিনে কালো পাশাক এড়িয়ে চলাই ভাল, তবে রাতের কোনও অনুষ্ঠানে কালো পরতে পারেন, এতে সবচেয়ে বেশি রোগা দেখায়।

২) বড় মাপের পোশাক পরা ফ্যাশনে ভীষণ ‘ইন’ হলেও চেহারা ভারী হলে নিজের মাপের পোশাক পরাই শ্রেয়। খুব বেশি চাপা পোশাক পরলে কিন্তু আবার মোটা দেখাবে। তাই এক সাইজ় বড় পোশাক কিনে নিজের মাপ অনুযায়ী সেলাই করে নিন। হাই ওয়েস্ট জিন্‌স কিংবা সাধারণ কোমরের জিন্‌স কিনুন। লো ওয়েস্ট জিন্‌স পরলে ভুঁড়ি বেরিয়ে যায়, দেখতে আরও বেশি মোটা লাগে।

৩) গোল গলা, টার্টল নেক আর চাইনিজ় কলারের শার্ট কিংবা টিশার্ট পরলেও মোটা দেখাবে। ভি নেক টিশার্ট কিংবা কলার দেওয়া শার্ট পরে প্রথম বোতামটি খুলে রাখলে আপনাকে রোগা দেখাবে।

৪) দুটো পোশাক একসঙ্গে পরলেও রোগা দেখায়। সে ক্ষেত্রে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ঘুরতে গেলে একটা হালকা রঙের টিশার্টের উপর একটা চেক শার্ট পরে নিতে পারেন। কোনও পার্টি থাকলে শার্ট কিংবা টিশার্টের উপর একটি জ্যাকেট পরে নিতে পারেন। ভুঁড়ি ঢাকার এটি কিন্তু দারুণ উপায়।

৫) লম্বালম্বি স্ট্রাইপের পোশাকে কিন্তু রোগা দেখতে লাগে। তাই শার্ট, টিশার্ট বাছাই করার ক্ষেত্রে লম্বালম্বি স্ট্রাইপযুক্ত পোশাককেই বেশি গুরুত্ব দিন। খুব বড় মোটিফ কিংবা চেক আছে, এমন পোশাক না পরাই ভাল।