শালিনী পাসির সৌন্দর্যের রহস্য কী? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
বয়স পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই। সন্তানের বয়স ২৭ বছর। তাতে কী! চোখে-মুখে দীপ্তি। নির্মেদ চেহারা। তিনি শালিনী পাসি। নামজাদা অভিনেত্রী না হলেও, বি-টাউনের তারকা মহলে পরিচিত মুখ। উদ্যোগপতি, সমাজসেবী হিসেবে তাঁকে সকলে চেনেন। সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে ‘ফ্যাবিউলাস লাইভস ভার্সাস বলিউড ওয়াইভস’ সিরিজে তাঁর উপস্থিতি দর্শকদের মনে ধরেছে। তার পর থেকে সমাজমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
শালিনীর পোশাক, চেহারা, ব্যক্তিত্ব— সব কিছু নিয়েই এখন কৌতূহল। শালিনীর সৌন্দর্য, ফিটনেস নিয়ে জানতে চান অনেকেই। কিন্তু জানলে অবাক হতে হয়, তিনি নাকি বাজারচলতি কোনও শ্যাম্পুই ব্যবহার করেন না।
কিছু দিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে শালিনী জানিয়েছেন, তিনি কখনও চুলে রং করেননি। ৪৮ বছরে এমন সুন্দর চুল পাওয়া কী ভাবে সম্ভব? শালিনী জানাচ্ছেন, তিনি এত বছর ধরে চুল পরিষ্কার করতে ব্যবহার করছেন রিঠা এবং আমলকি। ২৪ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে, তার পর রিঠা গুঁড়িয়ে শ্যাম্পু করেন তিনি। তার সঙ্গে মিশিয়ে নেন আমলকি।
চুলে শ্যাম্পু হিসাবে রিঠার ব্যবহার বেশ পুরনো। চুল ভাল রাখতে ভারতে প্রাচীনকাল থেকেই এই ফলের ব্যবহার হয়ে আসছে। রিঠা মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে, চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। ছোট এই ফলে থাকে বেশ বড় আকারের বীজ। সেটি ফেলে খোসা জলে ভিজিয়ে হাতে ঘষলেই তা থেকে সাবানের মতো ফেনা হয়। আমলকিতেও রয়েছে ভিটামিন সি এবং ই, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক।
শালিনী জানিয়েছেন, চুল পরিষ্কারের জন্য প্রাকৃতিক উপাদানেই ভরসা করেন তিনি। শুধু কাজের প্রয়োজনে বা বেড়াতে গেলে বাজারচলতি শ্যাম্পু ব্যবহার করেন। তবে এই বয়সে কি তাঁর পাকা চুল একেবারেই নেই? উদ্যোগপতির সহাস্য উত্তর, রয়েছে । তবে দু’টি। একটি হয়েছিল করোনা অতিমারির সময়ে। অন্যটি তাঁর ছেলের কলেজে ভর্তির সময়।
শালিনীর ছেলে রবিনের বয়স এখন ২৭। তাঁর স্বামী শিল্পপতি সঞ্জয় পাসি। তবে এমন বিত্তশালী পরিবারের বধূ হওয়া সত্ত্বেও তাঁর রূপচর্চা এবং ডায়েটে থাকে একেবারে সাধারণ জিনিস। শালিনী জানিয়েছেন, চুল ভাল রাখার জন্য তিনি কখনও রং করেন না। কেশচর্চায় কখনও মাঝেমধ্যে স্ট্রেটনার ব্যবহার করলেও স্থায়ী ভাবে চুল সোজা করার কথা মাথাতেও আনেন না।
আর কী করেন তিনি?
প্রয়োজনে শ্যাম্পু করতে হলে এড়িয়ে চলেন সিলিকনের মতো উপাদান। মাথায় মাখেন নারকেল তেল। বিভিন্ন সময়ে শালিনীকে দেখা যায় পনিটেল করতে। তাঁর একই রকম কেশসজ্জা নিয়ে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। তবে সে সবকে পাত্তা দিতে নারাজ সমাজসেবী, উদ্যোগপতি। কারণ তিনি মনে করেন, এটাই তাঁর ‘সিগনেচার হেয়ারস্টাইল’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy