পেয়ারা পাতার জলে ঘন হবে চুল। কী ভাবে ব্যবহার করবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
পেয়ারার গুণ অনেক। তবে পেয়ারা পাতাও কম যায় না। দাঁতে ব্যথা হোক বা মুখে দুর্গন্ধ, পেয়ারা পাতা ফুটিয়ে সেই জলে কুলকুচি করলে এই দুই সমস্যারই সমাধান হয়। শুধু তা-ই নয় ত্বকের জেল্লা ফেরাতেও কার্যকর পেয়ারা পাতা।
কিন্তু জানেন কি, চুল ঝরা কমাতেও সাহায্য করে পেয়ারা পাতার জল?
উপকারিতা
পেয়ারা পাতা ভিটামিনে ভরপুর। পেয়ারার পাশাপাশি পাতাতেও রয়েছে ভিটামিন বি এবং সি। রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও। চুলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল কোলাজেন নামক প্রোটিন। কোলাজেনের মাত্রা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে পেয়ারা পাতা।
কী ভাবে সাহায্য করে?
এতে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা চুলের বাড়-বৃদ্ধিতে কার্যকর। এতে থাকা লাইকোপেন নামে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কোষের ক্ষতি রুখতে সাহায্য করে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে চুলকে রক্ষা করে। পেয়ারা পাতার জলে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড চুল নরম, সুন্দর এবং মসৃণ করে। পেয়ারা পাতার জলে থাকে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। ফলে মাথার ত্বকের সংক্রমণ, খুশকি বা প্রদাহের মতো সমস্যার সমাধানও হতে পারে এই জলে।
পেয়ারা পাতায় শুধু ভিটামিন সি নয়, ই-ও থাকে। এই দু'টি উপাদান ত্বক এবং চুল, দুই-ই ভাল রাখতে কার্যকর।
এত গুণ থাকার জন্যই পেয়ারা পাতা ব্যবহারে প্রাকৃতিক উপায়ে ঝলমলিয়ে উঠতে পারে চুল।
কী ভাবে মাখবেন?
এক লিটার জলে বেশ কেয়কটি পরিষ্কার পেয়ারা পাতা ফুটিয়ে নিতে হবে। আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে অন্তত ২০ মিনিট তা ফোটাতে হবে। তার পর সেই জল ঠান্ডা করে ছেঁকে বোতলে ভরে নিতে পারেন।
শ্যাম্পু করার পরে পেয়ারা পাতার জল দিয়ে চুল ধুতে পারেন। আবার বোতলে ভরে সেটি চুলে স্প্রে করে নিতেও পারেন। সপ্তাহে ২-৩ বার এই জল মাখলে চুল হবে ঘন এবং সুন্দর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy