বর্ণময় এই সন্ধ্যায় কলকাতা সাক্ষী থাকল কিছু আলোকিত মুহূর্তের। ছবি: পিটিআই
আঠাশে পা দিল কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক ভাবে সূচনা হল উৎসবের। উদ্বোধনী সন্ধ্যায় স্টেডিয়ামে ছিল তারকাদের সমাগম। মূল মঞ্চে চাঁদের হাট। বলি এবং টলিপাড়ার একগুচ্ছ তারকার উপস্থিতি এক ছাদের তলায়। বর্ণময় এই সন্ধ্যায় কলকাতা সাক্ষী থাকল কিছু আলোকিত মুহূর্তের। এমন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধ্যায় কেমন সাজলেন তারকারা? কার সাজ বেশি নজর কাড়ল?
১) জুন মালিয়া-সাহেব চট্টোপাধ্যায়
জুন মালিয়া এবং সাহেব চট্টোপাধ্যায়। টলিপাড়ার এই দুই পরিচিত মুখ ছিলেন অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে। বিধায়ক-অভিনেত্রী জুন মালিয়ার পরনে ছিল হালকা গোলাপি রঙের টিস্যু সিল্ক। সঙ্গে মানানসই জমকালো ব্লাউজ। গলায় এবং কানে হালকা গয়না। চুলে আটসাঁট খোঁপা। হালকা মেরুন রঙের শেরওয়ানিতে সাহেবও যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন।
জয়া ও অমিতাভ বচ্চন
কলকাতার মেয়ে-জামাই। এ শহরের প্রতি টান আর আবেগ দু’জনেরই সমান। বেশ কয়েক বছর ধরেই চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠানে যুগলে উপস্থিত থাকছেন অমিতাভ-জয়া। জয়া বরাবরই ছিমছাম সাজেন। ঘিয়ে রঙা শাড়ি, সাদা শাল আর খোঁপায় বেলফুলের মালা— নিজের শহরে এসে স্নিগ্ধ সাজে ধরা দিলেন অমিতাভ-ঘরনি। সমুদ্রনীল কোট আর প্যান্টে শীতের শহরে আবেগ ছড়ালেন অমিতাভ।
শাহরুখ খান
পাক্কা আধঘণ্টা দেরি করেছেন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পৌঁছাতে। সে কারণে উদ্বোধন স্থগিত রেখে বিশিষ্ট অতিথিদের সম্মানজ্ঞাপন পর্বটি এগিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু তিনি মঞ্চে উঠতেই চিৎকারে ফেটে পড়েছিল গোটা অডিটোরিয়াম। এই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের মধ্যমণি ‘পাঠান’। কালো স্যুট পরে মঞ্চে উঠলেন শাহরুখ খান। দর্শকের তো বটেই, মঞ্চে উপস্থিত টলি নায়িকাদের চোখ-মুখে ছড়িয়ে পড়ল আলো। নতুন ছবির জন্য ওজন ঝরিয়েছেন। চরিত্র অনুযায়ী শরীর গড়েছেন। মেদহীন, পেশিবহুল ৫৭-র শাহরুখ খান ভক্তহৃদয়ে আরও এক বার ছড়িয়ে দিলেন উষ্ণতার আঁচ।
রানি মুখোপাধ্যায়
‘রাহুলের’ হাত ধরেই মঞ্চে উঠলেন ‘টিনা’। এক জন কলকাতার মেয়ে, অন্য জন এ শহরের আবেগ। রানি আর শাহরুখকে একসঙ্গে মঞ্চে আসতে দেখেই ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর দৃশ্য যেন ফিরে দেখলেন শহরবাসী। সাদা পাড় কালো জর্জেটের শাড়ি, থ্রি-কোয়ার্টার হাতা ব্লাউজ, কানে পাথরের ঝোলা দুল— এমন সাজেই শহরে এসে নজর কা়ড়লেন রানি।
মিমি চক্রবর্তী
কালচে সবুজ রঙের শিফন শাড়ি। সঙ্গে মানানসই কেতাদুরস্ত ব্লাউজ, কানে সবুজ পাথর বসানো ভিক্টোরিয়ান ড্যাঙ্গলার। আটসাঁট করে বাঁধা চুল। কলকাতার আঠাশতম চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠানে এমন সাজেই ধরা দিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সন্ধ্যায় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার ‘দাদা’। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাজগোজ সব সময়েই খুব সীমিত। জমকালো পোশাকে খুব একটা দেখা যায় না তাঁকে। গালে চাপদাড়ি, চোখে রিমলেস চশমা, পরনে কালচে নীল রঙের গলাবন্ধ শেরওয়ানি— ছিমছাম সাজে আলাদা করে নজর কাড়লেন বাঙালির ‘আইকন’।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
অনুষ্ঠান শুরুর কিছু ক্ষণ পরে ঢুকলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ঘিয়ে রঙা জমকালো পাঞ্জাবি, সাদা পায়জামা, চোখে সাদা ফ্রেমের চশমা— এ ভাবেই নিজেকে সাজিয়ে মঞ্চে উঠলেন ‘ইন্ডাস্ট্রি’। চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতি বারই দেখা যায় তাঁকে। এ বারের সাজে বাড়ল তাঁর উপস্থিতির গাম্ভীর্য।
অরিজিৎ সিংহ
পরনে সুতির ঢোলা পাঞ্জাবি, পায়জামা, গায়ে শাল জড়ানো। মাথায় জড়ানো স্কার্ফ। চোখে কালো ফ্রেমের মোটা চশমা। ‘রং দে তু মোহে গেরুয়া’র সুরে ঝড় তুললেন অডিটোরিয়ামে।
কুমার শানু
বাংলা আর হিন্দি মিলিয়ে ঠিক কতগুলি ছবিতে গান গেয়েছেন, তার হিসাব বোধ হয় কুমার শানুর নিজের কাছেও নেই। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, কলকাতায় অনুষ্ঠিত যে কোনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে তার সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে। এর আগের বছরগুলিতেও মঞ্চে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। এ বারও দেখা দিলেন মঞ্চে। সাদা-কালোয় মেশানো কোট, প্যান্টে চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেন কুমার শানু।
শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়
এক রঙা কালো ক্রেপ শাড়ির সঙ্গে ‘সব্যসাচী’-র লোগো দেওয়া বেল্ট। সঙ্গে মানানসই কালো হাতকাটা ব্লাউজ। গয়নায় কালো-সবুজের মিশ্রণ। মাথায় খোঁপা। চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনা সন্ধ্যায় শাহরুখের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে আলাদা করে নজর করলেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
দেব
অমিতাভ বচ্চনকে বরণ করে নেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাঁর উপর। অনুষ্ঠানের শুরুতে সে দায়িত্ব পালন করলেন তিনি। দেব মানেই নতুন কিছু চমক। এ বার সেই চমক ছিল অভিনেতার পোশাকে। সাদা-কালো রঙের যুগলবন্দিতে তৈরি কেতাদুরস্ত পাঞ্জাবি, জহর কোট আর গোড়ালির কাছে শেষ হয়ে যাওয়া কালো প্যান্টে প্রতি বারের মতো নজর কাড়লেন সাংসদ-অভিনেতা।
এবং...
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
রাজনৈতিক কর্মসূচি কিংবা পুজোর উদ্বোধন— রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোশাকে কোনও বদল চোখে পড়ে না। সেই সরু পাড় সাদা খোলের শাড়ি। চোখে চশমা। কানে ছোট্ট দুল। পায়ে হাওয়াই চটি। সেই সাজই নজর কাড়ে। উৎসবের সন্ধ্যাতেও সেই সাজপোশাকের অন্যথা হয়নি। শীতকাল বলে শুধু বাড়তি সংযোজন একটি শাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy