উৎসবে কী ভাবে ভাল রাখবেন ত্বক? ছবি: ফ্রিপিক।
কালীপুজো, দীপাবলি। উৎসবের আবহ চারদিকে। খাওয়াদাওয়া, আনন্দ-হুল্লোড় চলতেই থাকবে। কিন্তু এরই মাঝে শরীরের যত্ন না নিলে তার প্রভাব পড়তে পারে চোখেমুখেও। যতই রূপটান নিখুঁত হোক না কেন, শরীরে জলের ঘাটতি হলে তার প্রভাব পড়তে পারে। উধাও হতে পারে জেল্লা।
উৎসবের মরসুমে নিজেকে এবং ত্বক যত্নে রাখতে কী করবেন?
এক্সফোলিয়েশন
শুধু ক্লিনজ়িং ত্বকের গভীর থেকে ময়লা পরিষ্কার করতে পারে না। প্রয়োজন এক্সফোলিয়েশন। এতে ত্বকের ভিতর থেকে মৃত কোষ ঝরে যায়। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে সুন্দর, জেল্লাদার। পরিষ্কার সুন্দর ত্বকের মেকআপের পরতও বসে ভাল ভাবে।
ময়েশ্চারাইজ়ার
শীত না পড়লেও এই সময় ত্বকে টান ভাব দেখা যায়। দ্রুত ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই ত্বকের প্রয়োজন আর্দ্রতার। সে কারণেই এই মরসুমে মুখ ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার খুব জরুরি। রূপটানের আগেও ময়েশ্চারাইজ়ার মাখলে ত্বক থাকবে আর্দ্র।
সিরাম
ত্বক শুষ্ক হলে প্রতি রাতে সিরাম ব্যবহার করুন। এই ধরনের ত্বকের জন্য হায়ালুরোনিক অ্যাসিড এবং গ্লিসারিন সম্পন্ন সিরাম অত্যন্ত কার্যকরী। হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না।
সানস্ক্রিন
দিনের বেলা বাইরে বেরোলে সানস্ক্রিন মাখতেই হবে। সূর্যের ক্ষতিকর বেগনি রশ্মি ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। রোদে ত্বকে কালচে ছোপ পড়ে যায়। তাই সানস্ক্রিন কোনও ভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। তবে ত্বকের জন্য উপযোগী কোনটি তা বেছে নেওয়া দরকার। না হলে মুখ তেলতেলে বা কালো লাগতে পারে।
বাড়তি যত্ন
নিয়মিত রূপচর্চার পাশাপাশি ত্বকের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। কালীপুজোর সময় বাজি ফাটানো হয়। বাতাসে দূষণের মাত্রা বেশি থাকে। বাজি থেকে নির্গত ধোঁয়া, রাসায়নিকে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। ত্বকের উন্মুক্ত ছিদ্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে দিনের শেষে মুখের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। এ ছাড়া চারকোল, মাটির কিছু মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে, যা ত্বক থেকে দূষিত পদার্থ বা টক্সিন বার করতে সাহায্য করবে।
ঘুম
ত্বক সজীব এবং সুন্দর রাখতে শোয়ার আগে পরিচর্যা এবং পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। উৎসবের আবহে ঘুম ঠিকমতো হয় না। ঘুম ঠিক না হলে, বিপাকক্রিয়ায় তার প্রভাব পড়তে পারে। হজমে সমস্যা হতে পারে। শারীরিক সমস্যার ছাপ মুখ এবং চোখেও পড়তে বাধ্য। তাই ব্যস্ততা, হুল্লোড়ের ফাঁকে ঘুম বাদ গেলে চলবে না।
আর্দ্রতা
মুখে ময়শ্চারাইজ়ার, সিরাম মেখে ত্বক আর্দ্র রাখা যায় ঠিকই, তবে শরীরে জলের ঘাটতি হলে তার প্রভাবও সৌন্দর্যে পড়বে। উৎসবের আবহে ভাজাভুজি খাওয়া বেড়ে যায়। কেউ কার্বনযুক্ত ঠান্ডা, কেউ আবার কঠিন পানীয়ে গলা ভেজান। যা শরীরে জলশূন্যতা বাড়িয়ে দিতে পারে। তা ছাড়া সারা দিনে জল খাওয়ার কথা কারও মনেই থাকে না।
এই সময় শরীরে যাতে জলের ঘাটতি না হয় সে জন্য কী কী করবেন?
১. মনে করে জল খেতে হবে।
২. ঠান্ডা পানীয়ের বদলে চুমুক দিতে পারেন ফলের রসে।
৩. তরমুজ, শসা, লেবুর মতো ফল পাতে রাখলেও শরীরে জলের ঘাটতি এড়ানো যাবে।
৪. চুমুক দিতে পারেন ডিটক্স পানীয়ে। বিভিন্ন ফল জলে ভিজিয়ে সেই জলটি পান করুন। এতে শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বা টক্সিন বেরিয়ে যাবে।
৫. রকমারি পদের মধ্যে রাখতে পারেন স্যুপও। এতেও জলের ঘাটতি দূর হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy