ত্বকের জেল্লা ফিরে পেতে কী ভাবে ব্যবহার করবেন শসা। ছবি: ফ্রিপিক।
চড়া রোদে বেরোলেই জ্বালাপোড়া করছে ত্বক। পেশাগত কারণে যাঁদের রোজ বেরোতে হয়, তাঁরা বিলক্ষণ বুঝবেন এই কষ্টটা। ত্বকের সেই উজ্জ্বলতা যেন কোথায় মিলিয়ে যাচ্ছে। নাকের দু’পাশে, গালে, কপালে কালচে ছোপ পড়ছে। বেশি ক্ষণ রোদে থাকলেই ত্বকে র্যাশ, ফুসকুরি হচ্ছে। এ দিকে ত্বকের যত্ন নিতে পার্লারে যাওয়ার সময় নেই। বাজার থেকে বাহারি জিনিস কিনে এনে ত্বকের যত্ন নেওয়া ঠিক হবে কি না, সেটাও ভাবছেন। এই সমস্যার সমাধান কিন্তু হতে পারে বাড়িতেই। শসাতেই আছে সেই গুণ, যা ত্বকের জেল্লা তো ফেরাবেই, নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাবও কমাবে।
ত্বকের যত্নে কী ভাবে ব্যবহার করবেন শসা?
১) কাঁচা শসা
শশা গোল গোল টুকরো করে কেটে নিয়ে দু’চোখের উপরে, নীচে, গালে, কপালে, থুতনিতে, নাকের উপরে রেখে দিন। দেখবেন, চোখ-মুখের ফোলা ভাব কমে যাবে। সারা দিনের ক্লান্তির ছাপও উধাও হবে। ত্বকে যদি ব্রণ, ফুসকুরি বা র্যাশ বার হয়, তা হলে শসার রস আরাম দেবে। ত্বকের চুলকানি কমে যাবে।
২) শসার ফেসপ্যাক
ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারে শসার ফেসপ্যাক। বাজারচলতি ফেসপ্যাকের চেয়ে বহু গুণে ভাল। খুব খাটনির কাজ নয়। এক বার বানিয়ে নিতে পারলে চলবে বেশ কিছু দিন। শসার মধ্যে অনেকটা জল থাকে। এই সময়টায় আপনার যেমন বার বার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, জল তেষ্টা পাচ্ছে, ত্বকেরও তেমনই হচ্ছে। ত্বক চনমনে রাখতে বেশি জল চাই। শসা সেটা দিতে পারে। একটা পাত্রে শসা কুচি কুচি করে কেটে রাখুন। তার সঙ্গে মিশিয়ে দিন মধু, দই ও অ্যালো ভেরা জেল। এবার ভাল করে সেই মিশ্রণ লাগিয়ে নিন মুখে। যাবতীয় কালচে দাগছোপ উঠে যাবে। ত্বক হবে টানটান।
৩) শসার মাস্ক
শসা কুচি করে একটু মিক্সিতে বেটে নিন। সামান্য দুধ মিশিয়ে নিন তার সঙ্গে। একটি পাত্রে সেই মাস্ক ভরে রেখে দিন ফ্রিজে। ঘরের কাজের ফাঁকে কখনও সেই মাস্কের কিছুটা মেখে নিন মুখে। শুকোতে দিন নিজের নিয়মে। আধ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। ক’দিনেই ঝলমল করবে ত্বক।
৪) শসার টোনার
বাজার থেকে কেনা টোনারের বদলে বাড়িতেই বানিয়ে নিন শসার টোনার। একসঙ্গে অনেকটা বানিয়ে রেখে দিতে পারেন। একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে শসার কয়েকটি টুকরো নিয়ে ভাল করে ফোটাতে হবে। ৫ থেকে ৭ মিনিট ফোটানোর পরে যখন মিশ্রণ ঘন হয়ে আসবে তখন নামিয়ে ছেঁকে নিন। এ বার সেই মিশ্রণে গোলাপ জল মিশিয়ে রেখে দিন। ত্বকে জ্বালা, চুলকানি হলে শসার টোনার ত্বকে শীতল অনুভূতি এনে দেবে।
৫) শসা ভেজানো জল
একটা পাত্রে জল ভরে তাতে শসা কেটে ফেলে রাখুন। রাতভর তেমন ভাবেই থাকতে দিন সেই জল। সকালে মুখ ধোয়ার সময়ে সেই জলই ব্যবহার করুন। যদি মাস্ক মাখার সময় না হয়, তা হলে নিয়মিত শসা ভেজানো জল দিয়ে চোখ-মুখ ধুয়ে দেখুন। শসার ভিটামিন-সি আর ফলিক অ্যাসিড ত্বকের যত্ন নেবে। আপনার চোখ-মুখে যেমন আরাম হবে, তেমনই অনেক ক্ষণ ঠান্ডা ভাব বজায় থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy