তেল ব্যবহার করুন কন্ডিশনারের মতো। ছবি: সংগৃহীত।
আবহাওয়া বদলাতেই চামড়ায় টান ভাব অনুভব করায় কাঠবাদামের তেল মাখতে শুরু করেছেন। ত্বকের যত্নে দারুণ কাজ করে ভিটামিন ই-তে ভরপুর এই তেল। শীতে খুশকির বাড়বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণ করতে অনেকেই কাঠবাদামের তেল মাখেন। চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে কাঠবাদামের তেল। ভিটামিন-ই ছাড়াও এই তেলের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান। যা চুলের গোড়া মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল রাখতে নিয়মিত কাঠবাদামের তেল মাসাজ করার পরামর্শ দেন ত্বকের চিকিৎসকেরাও। তবে যাঁদের মাথার ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত কিংবা যাঁরা মাথায় তেল মাখতে পছন্দ করেন না, তাঁরা তিন উপায়ে কাঠবাদামের তেল চুলে ব্যবহার করতে পারেন।
১) চুলের মাস্ক হিসেবে
মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে, চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাতে মাথায় মাখতে পারেন বিশেষ এক ধরনের মাস্ক। মধু, ইয়োগার্ট, ডিম এবং কাঠবাদামের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে, স্নানের আধঘণ্টা আগে মাথায় মেখে রেখে দিন। তার পর ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন। অভাবনীয় পরিবর্তন দেখতে সপ্তাহে দু’দিন ব্যবহার করুন এই মাস্ক।
২) কন্ডিশনার হিসেবে
চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কাঠবাদামের তেল। রাসায়নিক দেওয়া কন্ডিশনারের প্রভাবে চুল বা মাথার ত্বকের ক্ষতিও হয় না।
৩) ক্যারিয়ার অয়েল হিসেবে
মাথার ত্বকে সংক্রমণ বা সোরিয়োসিসের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করেন। তবে এই এসেনশিয়াল অয়েল তো সরাসরি ব্যবহার করা যায় না। তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হয়। ক্যারিয়ার অয়েল হিসেবে কাঠবাদামের তেল এ ক্ষেত্রে খুব ভাল কাজ করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy