শিটমাস্ক কিন্তু ত্বকের ধরন বুঝেই কিনতে হয়। ছবি: সংগৃহীত।
হাতে সময় কম। কাজ থেকে ফিরে ঘরের কোন কাজটা রোজ করবেন আর কোনটা বাদ দেবেন, ভেবে পান না। সে সব করতেই রাত গড়িয়ে যায়। তার উপর আর নিজের রূপচর্চার জন্য খাটতে কারই বা ভাল লাগে! অথচ, রোজ বাইরে বেরোতে হয়। একটু আধটু যত্নআত্তি করলে ভালই হয়। তবে মুখে ওই সব প্যাক মেখে কাঠ হয়ে শুয়ে বা বসে থাকার সময় নেই। এই সব সাত-পাঁচ ভেবেই দোকান থেকে কয়েকটা শিটমাস্ক কিনে এনেছেন। কোনটা ফলের নির্যাস দেওয়া, তো কোনটা ফুলের। সেই অনুযায়ী প্রত্যেকটির গন্ধও আলাদা। ঘরোয়া প্যাকের মতো এক দিন ছাড়া এই ধরনের মাস্ক ব্যবহার করাও যায় না। কিন্তু অন্যান্য প্রসাধনী কিনতে গেলে যে ভাবে ত্বকের ধরন বা সমস্যার কথা চিন্তা করেন, এ ক্ষেত্রেও কিন্তু তার অন্যথা হবে না। একটু এ দিক-ও দিক হলেই ত্বকে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। তাই শিটমাস্ক কেনার সময়ে প্যাকেটের পিছনে কী কী উপাদান রয়েছে, তা-ও দেখে নেওয়া জরুরি। এ ছাড়া আর কী কী মাথায় রাখবেন?
১) সাধারণ থেকে শুষ্ক ত্বক:
কারও ত্বক যদি খুব শুষ্ক হয়, সে ক্ষেত্রে আগে ত্বকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনা জরুরি। তার জন্য হায়ালুরনিক অ্যাসিড, সুইট আমন্ড অয়েল, স্নেল মিউসিন এবং রাইস ওয়াটার দেওয়া মাস্ক কেনা যেতেই পারে।
২) তৈলাক্ত বা কম্বিনেশন ত্বক:
মুখে অতিরিক্ত তেল মানেই ব্রণ, ব্ল্যাকহেড্স কিংবা হোয়াইডহেড্সের সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এবং ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখতে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, স্যালিসিলিক অ্যাসিড কিংবা ম্যান্ডেলিক অ্যাসিড-যুক্ত শিটমাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
৩) স্পর্শকাতর ত্বক:
যাঁদের ত্বক স্পর্শকাতর, তাঁরা চেষ্টা করুন কোনও রকম বর্ণ বা গন্ধ ছাড়া শিটমাস্ক ব্যবহার করতে। অ্যালো ভেরা, অ্যালান্টোইন, ক্যামোমাইলের নির্যাস দেওয়া মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। সব ধরনের মাস্কই ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করা যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy