অনলাইনে প্রসাধনী কিনবেন? কী কী মাথায় রাখবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
মুঠোফোনের এক ক্লিকেই এখন বাড়িতে বসে পাওয়া যায় দেশি, বিদেশি ব্র্যান্ডের রকমারি প্রসাধনী। এর সুবিধা অনেক। ঘরে বসেই পছন্দের জিনিস অর্ডার করা যায়, পাওয়া যায়। পছন্দ না হলে ফেরতও দেওয়া যায়।
তবে অনলাইনে প্রসাধনী কিনলে কিছু সমস্যা অবশ্যই রয়ে যায়। যেমন ধরা যাক, অনলাইনে লিপস্টিক কিনলেন। মোবাইলের পর্দায় যে রং দেখলেন, ঠোঁটে লাগানোর পর তা বদলে গেল অনেকটাই। একবার খোলা হয়ে গেলে, সেই প্রসাধনী আর ফেরত দেওয়া যাবে না। ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রেও দোকানে গেলে, শেড হাতে বা গালে দিয়ে দেখার সুযোগ থাকে। ফলে সেটি ত্বকের সঙ্গে মিলছে কি না, বোঝা যায়। কিন্তু অনলাইনে সেই সুযোগ নেই। এ ছাড়াও, নতুন কোনও ব্র্যান্ডের প্রসাধনী ব্যবহারের আগে কী ভাবে বুঝবেন, তা ভাল না খারাপ?
ব্যবহারকারীরা কী বলছেন?
যে কোনও নতুন ব্র্যান্ডের প্রসাধনী কেনার আগে অবশ্যই ‘রিভিউ’ পড়ে নিন। সেটি সম্পর্কে ক্রেতারা কী বলছেন, ব্যবহারের পর কাঙ্ক্ষিত ফল মিলছে কি না, দেখে নিন। এক নয়, একাধিক ‘রিভিউ’ দেখে তবেই জিনিসটি কিনুন।
বিক্রি বেশি কোনটির?
সর্বাধিক বিক্রি হওয়া প্রসাধনীর মধ্যে থেকে জিনিসটি বেছে নেওয়া ভাল। যে কোনও জিনিস ভাল হলে তবেই তার বিক্রি বেশি হয়। যে জিনিসটি কিনতে চাইছেন, সেটি অনলাইন সংস্থায় খুঁজুন। সর্বাধিক বিক্রি হওয়া আইলাইনার বা কাজল অথবা লিপস্টিক এ ভাবে খোঁজা যেতে পারে। তার পর সেটি সম্পর্কে ক্রেতারা কী বলছেন, দেখে নিন।
বৈশিষ্ট্য
যে প্রসাধনীটি কিনবেন, তার বৈশিষ্ট্যগুলি আগে পড়ে নিন। কাজল কিনতে গেলে, সেটি কতটা গাঢ়, জল লাগলে উঠে যাবে কি না, অল্পে ঘেঁটে যাবে কি না, সেগুলি দেখে নিন।
ত্বকের ধরন
যে কোনও প্রসাধনী কেনার আগে তা কেমন ত্বকের জন্য, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া দরকার। ফাউন্ডেশনটি শুষ্ক ত্বকের না তৈলাক্ত ত্বকের জন্য তৈরি, তা না বুঝে কিনলে টাকা নষ্ট হতে পারে। পাশাপাশি, ফাউন্ডেশন কেনার আগে ‘স্কিন টোন’ জানা দরকার। ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন শেড রয়েছে। নিজের ‘স্কিন টোন’ না বুঝে কিনলে অসুবিধা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy