মুখ-হাত-গলায় টক দই মাখলে ত্বকের জেল্লা বাড়বে। ছবি: সংগৃহীত
বাড়িতে পাতা টক দই মাঝে মধ্যেই বেশি টকে যায়। অনেক সময় বাজার থেকে দই কিনে আনলেও দিন দুয়েকের মধ্যেই তার থেকে অল্প গন্ধ বেরোতে থাকে। তখন আর সেই দই খাওয়া যায় না। কেউ কেউ তা রান্নায় ব্যবহার করেন। তবে সেই দই রান্নায় ব্যবহার করলেও তার স্বাদ বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বলে কি এক বাটি দই ফেলে দেবেন?
দই নষ্ট না করে বরং রূপচর্চায় ব্যবহার করতে পারেন। মুখ-হাত-গলায় টক দই মাখলে ত্বকের জেল্লা বাড়বে। শুধু তাই নয়, এই উপকরণে দূর হয় ত্বকের একাধিক সমস্যা।
কী করে ব্যবহার করবেন টকে যাওয়া দই?
ব্রণ দূর করতে
এক টেবিলচামচ টক দই নিয়ে তুলো দিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে রাখুন। রাতে লাগালে সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলবেন। দিনে লাগালে ঘণ্টা দুয়েক লাগিয়ে রাখুন, তার পর ধুয়ে নিন। দইয়ের মধ্যে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের সংক্রমণ দূর করে। ব্রণ সমস্যা দূর হয় সহজেই।
চোখের তলায় কালো দাগ কমাতে
কাজের চাপে চোখের তলায় কালি পড়েছে? টক দইয়ে তুলো ডুবিয়ে চোখের তলায় আলতো করে লাগিয়ে নিন। দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দই চোখের কোলের ফোলা ভাব কমায়, কালো ছোপও দূর করে।
দাগ ছোপ কমাতে
ব্রণর সমস্যা থেকে মুক্তি পেলেও তার দাগ কিছুতেই যেতে চায় না। ব্রণর দাগ, মশার কামড়ের দাগ কিংবা যে কোনও দাগ ছোপ কমাতে টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। দইয়ের সঙ্গে অল্প পাতিলেবুর রস মিশিয়ে দাগের উপর লাগান, দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই পন্থা মেনে চললেই দেখবেন দাগ হালকা হতে শুরু করেছে।
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতে
অনেকেই শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। এ ক্ষেত্রে খানিকটা দইয়ের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে নিন। মিনিট দশেক রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দই প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে ত্বক আর্দ্র আর কোমল করে তুলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy