— প্রতীকী চিত্র।
ত্বকের জন্য ভাল প্রসাধনীর খোঁজ চিরকালীন। আগে মেয়েরা ত্বকচর্চার জন্য ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা করলেও এখন সময়ের অভাবে সকলেই বাজারচলতি প্রসাধনীর উপর নির্ভরশীল। প্রায় প্রতিটি সংস্থাই দাবি করে, তাদের প্রসাধনী অন্যদের তুলনায় উন্নত। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে, কম সময়ে চটজলদি ফল দিতে নানা রকম রাসায়নিকও দেওয়া হচ্ছে প্রসাধনীতে। কিন্তু সেই সব রাসায়নিক ব্যবহারে ফলে ত্বকের আদৌ উপকার হচ্ছে কি না, তা হয়তো খতিয়ে দেখেন না অনেকেই। কিন্তু ত্বক চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের প্রসাধনী তৎক্ষণাৎ ভাল ফল দিলেও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা আদৌ ভাল নয়। কারণ এই সমস্ত প্রসাধনীর মধ্যে এমন কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে, যা থেকে শুধু ত্বকের নয়, শরীর এবং পরিবেশেরও ক্ষতি হতে পারে।
ত্বক এবং পরিবেশের ক্ষতি রুখতে কী ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত?
১) পরিবেশবান্ধব প্রসাধনী
প্রসাধনীর মান উন্নত করার জন্যে তার মধ্যে প্যারাবেন, সালফেট, প্যাথালেট্স এবং ফর্মালডিহাইডের মতো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। তৎক্ষণাৎ মুখে জেল্লা এনে দিলেও দীর্ঘ দিন ধরে এই রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনীগুলি ব্যবহার করার ফলে আদতে ত্বকের ক্ষতি হয়। তাই রূপচর্চার জন্য পরিবেশবান্ধব প্রসাধনী বেছে নিতে বলছেন অভিজ্ঞরা।
২) স্পিরিট বা অ্যালকোহলে না
এমন অনেক প্রসাধনী রয়েছে, যেগুলি মুখে মাখলে তৎক্ষণাৎ ঠান্ডা লাগে, কারও আবার জ্বালা করে। কারণ এই সমস্ত প্রসাধনীতে অ্যালকোহল বা স্পিরিটজাতীয় তরল পদার্থ থাকে। ত্বক চিকিৎসকেরা বলছেন, অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা স্পিরিট দেওয়া প্রসাধনী মাখলে মুখের স্বাভাবিক তৈলাক্ত চরিত্র নষ্ট হতে থাকে। ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেয়েও ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। ত্বকে তারুণ্যের কোনও বৈশিষ্ট্যই আর অবশিষ্ট থাকে না।
৩) মিনারেল অয়েল বা পেট্রোলিয়াম ত্বকের জন্য ভাল নয়
ফাটা ঠোঁট বা ফাটা গোড়ালি জোড়া দিলেও ত্বকের জন্য মোটেই ভাল নয় পেট্রোলিয়াম জেলি। খনিজ তেল বা পেট্রোলিয়ামজাত যে কোনও রাসায়নিক ত্বক এবং পরিবেশের জন্যে ক্ষতিকর। তাই এমন ধরনের প্রসাধনী না মাখাই ভাল।
৪) রাসায়নিক এক্সফোলিয়েশন নয়
ঘরোয়া স্ক্রাব ব্যবহার করেও আশানুরূপ ফল না পেলে অনেকেই কেমিক্যাল পিল্স ব্যবহার করেন। এই ধরনের প্রসাধনী ব্যবহারে তৎক্ষণাৎ আশানুরূপ ফল মিললেও দীর্ঘ দিন ধরে এইগুলি ব্যবহার করা মোটেও ভাল নয়।
৫) কৃত্রিম সুগন্ধী দেওয়া প্রসাধনী
এই ধরনের প্রসাধনী ব্যবহারে ত্বকে নানা ধরনের অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। শুধু তাই নয়, এই সব সুগন্ধীর প্রভাবে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে। শরীরে টক্সিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy