ছবি : সংগৃহীত।
বয়সের সঙ্গে যৌবনের বিদায় নেওয়া প্রকৃতির নিয়ম। তবু অনেকে যৌবন ধরে রাখতে চান। কেউ আবার জিনগত কারণে বা জীবনযাপনের নানা বেনিয়মের কারণে দ্রুত বুড়িয়ে যান। তাঁরাও চান ত্বকের টানটান ভাব ফেরাতে। বাজারে এই সমস্যার সমাধানের অজস্র প্রসাধন সামগ্রী রয়েছে। কিন্তু সেগুলি ভাল কি মন্দ, বুঝবেন কী করে? সব কিছুই যে ভাল ভাবে কাজ করে, তা তো নয়।
সাধারণত ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে বলিরেখা, শুষ্কভাব, চামড়া ঝুলে পড়ার প্রবণতা দেখা গেলে। আর এই সব ক’টি উপসর্গই দেখা দেয় যখন ত্বকে কোলাজেন তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়, ইলাস্টিন ফাইবার খারাপ হতে থাকে এবং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার ক্ষমতা কমতে থাকে। এই সমস্যার সমাধান করতে পারে কোন কোন উপাদান?
১। রেটিনয়েড (ভিটামিন এ থেকে প্রাপ্ত)
বয়স বাড়তে না দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী উপাদান হল রেটিনয়েড। এটি কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে। কোষের পুনরুজ্জীবনে সহায়তা করে। সূক্ষ্ম বলিরেখা মুছে ফেলে এবং দাগছোপ দূর করে ত্বককে মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
২। ভিটামিন সি
ভিটামিন সিতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। যা ত্বককে ‘বিষমুক্ত’ করে। দূষণ এবং সূর্যের আলোর প্রভাবে ত্বকের যে সমস্ত ক্ষতি হয়, তা থেকে ত্বককে মেরামত করতে সাহায্য করে। কোলাজেন তৈরি করতে সহায়তার পাশাপাশি ত্বককে উজ্জ্বলও করতে পারে।
৩। পেপটাইড
অ্যামিনো অ্যাসিডের ছোট ছোট শৃঙ্খল। যা দিয়ে তৈরি হয় কোলাজেন আর ইলাস্টিনের মতো প্রোটিন। ত্বককে নিজের ক্ষতি নিজে থেকেই মেরামত করার দিশা দেখায় পেপটাইড। এই উপাদানও কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে। ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে পেপটাইড।
৪। হ্যালুরোনিক অ্যাসিড
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে হ্যালুরোনিক অ্যাসিড। ত্বক মসৃণ রাখতে ফোলাভাব বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
৫। নায়াসিনামাইড (ভিটামিন বি থ্রি)
নায়াসিনামাইডও ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। শুষ্ক ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রপথ সঙ্কুচিত রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার যে কোনও প্রক্রিয়াতেই নায়াসিনামাইড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে।
তাই ত্বকের পরিচর্যার জন্য প্রসাধনী কেনার সময় তার উপাদানগুলি দেখে নিন। যদি সেই প্রসাধনীর মূল উপাদানের তালিকায় এই পাঁচটি নাম থাকে, তবে তা দিয়ে কার্যসিদ্ধি হতে পারে। তবে এর পাশাপাশি কয়েকটা দৈনন্দিন অভ্যাস বদলেও ত্বককে যৌবনোজ্জ্বল রাখা যায়।
১। সূর্যের অতিবেগনি আলো থেকে বাঁচা, ২। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য প্রচুর জল খাওয়া এবং খাবারের তালিকায় বেরি জাতীয় ফল, শাকপাতা, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার রাখা। ৩। নিয়মিত ত্বক পরিচর্যার অভ্যাস বজায় রাখা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy