ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে চাইলে উন্মুক্ত ছিদ্রের সমস্যা সারিয়ে তোলা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
সারা বছরই তৈলাক্ত ত্বক, র্যাশ-ব্রণের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকেন। কিন্তু শীত আসার মুখে দোসর হয় ওপেন পোর্স বা উন্মুক্ত ছিদ্র। ত্বকের পেশি ক্রমাগত সঙ্কুচিত, প্রসারিত হওয়ার ফলে ছিদ্রগুলি আকারে বড় হয়ে যায়। কপাল, নাক ও গালে এগুলি বড় হয়ে গর্তের মতো দেখতে লাগে। ত্বক শিথিল ও বয়স্ক দেখায়। ত্বকের ছিদ্র বড় হলে তাতে তেল আর ধুলোময়লা জমে। তখন ব্রণ, র্যাশের সমস্যাও বাড়ে। ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে চাইলে এগুলি সারিয়ে তোলা জরুরি। খরচসাপেক্ষ চিকিৎসা পদ্ধতিতে না গিয়ে ঘরোয়া কয়েকটি উপায়ে এই উন্মুক্ত রন্ধ্রগুলিকে আকারে কিছুটা হলেও কমিয়ে ফেলা যায়।
১) ত্বকের উন্মুক্ত ছিদ্রগুলি বন্ধ করতে ভরসা রাখতে পারেন অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের উপর। ওজন কমাতে যেমন পারদর্শী এই উপকরণ, তেমনই ত্বকের যত্নেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এটি। এই ভিনিগারের সঙ্গে অল্প জল মিশিয়ে টোনার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।
২) ত্বকের উন্মুক্ত ছিদ্র সঙ্কুচিত করতে সাহায্য করে ডিমের সাদা অংশ। এই উপাদানটির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেটের মতো খনিজ। এই সমস্ত উপাদান ত্বকের ছিদ্র সঙ্কোচনে সহায়তা করে।
৩) ত্বকের উন্মুক্ত ছিদ্রগুলি বন্ধ করতে সাহায্য করে ঘরোয়া একটি ফেসপ্যাক। হলুদ, বেসন এবং দইয়ের প্যাক তৈরি করে দশ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে ছিদ্রগুলি বন্ধ হয়ে যাবে। ত্বকও উজ্জ্বল হবে।
৪) বেকিং সোডার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ ত্বকের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। মুখে সেবাম ক্ষরণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে এটি। ফলে ব্রণের উপ্রদব কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভবিষ্যতে ওপেন পোর্স-এর সমস্যাও হয় না।
৫) টোম্যাটোর মধ্যে লাইকোপেন নামে একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। ত্বকের উন্মুক্ত ছিদ্রগুলির সঙ্কোচনে এটি সাহায্য করে। টোম্যাটো কেটে দু’ভাগ করে তার উপর মধু দিয়ে দিন। মুখে মেখে রাখুন বেশ কিছু ক্ষণ। তার পর হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy