ছবি: প্রতীকী
বৃষ্টি হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু গরম যে একেবারে কমে গিয়েছে, তা নয়। এ দিকে, আবার ঘাম হলেও চামড়ায় কিন্তু বেশ টান ধরছে। ঠোঁট ফাটার বহর দেখেই বোঝা যাচ্ছে ত্বকে আর্দ্রতার অভাব রয়েছে। ঠোঁট শুকিয়ে যাচ্ছে বলে বার বার জিভ দিয়ে ফেলছেন। তার ফলে ঠোঁট আরও বেশি ফেটে যাচ্ছে। অনেকে আবার ভীষণ চিন্তায় পড়লে ঠোঁট কামড়ান। এই অভ্যাসের ফলেও ঠোঁট থেকে ছাল বা চামড়া উঠতে পারে। ফাটা ঠোঁটের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই লিপ বাম ব্যবহার করেন। কারও আবার পছন্দ লিপ গ্লজ়। কিন্তু এই দু’টি প্রসাধনীর কাজ কি একই রকম?
লিপ বাম
আর্দ্রতা বজায় রাখতে ঠোঁট নিজেই তেলের জোগান দিতে পারে। কিন্তু আবহাওয়া অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠলে সেই পরিমাণ তেল ঠোঁট সুরক্ষিত রাখতে পারে না। ফলে ঠোঁট ফেটে যায়। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে লিপ বাম ব্যবহার করা যায়। কারণ, এই বামের মধ্যে থাকা ময়েশ্চারাইজ়ার ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখেত সাহায্য করে। তা ছাড়াও ভাল মানের লিপ বাম ফাটা ঠোঁট সারিয়ে তুলতেও সাহায্য করে।
ভাল মানের লিপ বাম সাধারণত শিয়া বাটার, প্রাকৃতিক তেল, মোম এবং গ্লিসারিন দিয়ে তৈরি করা হয়। এখন আবার বামগুলিতে ‘এসপিএফ’ও দেওয়া থাকে। যা অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকে ঠোঁটকে সুরক্ষিত রাখে। তবে বাইরে থেকে শুধু লিপ বাম মাখলেই হবে না। পর্যাপ্ত পরিমাণে জলও খেতে হবে। কারণ, শরীরে জলের ঘাটতি থাকলেও কিন্তু ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
লিপ গ্লজ়
দিনের বেলা কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময়ে লিপস্টিকের বদলে লিপ গ্লজ় ব্যবহার করেন অনেকে। লিপস্টিকের মতো গাঢ় রং না থাকলেও ঠোঁটে হালকা গোলাপি আভা এনে দিতে পারে গ্লজ়। তবে বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, গ্লজ়ের ব্যবহারে ঠোঁট কিন্তু আরও শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে। যা ঠোঁট ফাটার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। লিপ গ্লজ়, লিপস্টিকের বিকল্প হতে পারে। কিন্তু ফাটা ঠোঁট মোলায়েম করতে পারে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy